ক্যাম্পাসজাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

টাঙ্গাইলে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মিরাজের রমরমা কোচিং বাণিজ্য

মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে ও সরকারি বিধিনিষেধ না মেনে কৌশলে প্রাইভেট কোচিং সেন্টার পরিচালনা করছেন সোনালী ব্যাংক কর্মকর্তা মিরাজুর ইসলাম মিরাজ। করোনা মহামারীতে শিক্ষার্থীদের জীবন যাতে ঝুকিতে না পরে সেজন্য শিক্ষামন্ত্রী স্কুল কলেজসহ সকল প্রাইভেট কোচিং সেন্টার বন্ধ ঘোষণা করেছেন। স্কুল কোচিং বন্ধ থাকার সুযোগ নিয়ে কতিপয় কিছু অসাধু শিক্ষক অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে গোঁপনে সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি না মেনে প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে দিনের পর দিন কোন সাইনবোর্ড না ব্যবহার করে ক্লাশ চালিয়ে যাচ্ছে এই অসাধু শিক্ষক। সাইনবোর্ড না থাকায় ও সকালে ক্লাশ নেওয়ায় প্রশাসনের ধরাছোয়ার বাইরে থাকছেন কতিপয় এ অসাধু শিক্ষক। এরই ধারাবাহিকতায় গোঁপন সংবাদের ভিত্তিতে টাঙ্গাইল শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় জামে মসজিদের পশ্চিম পাশে ( এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে) বাবুলের বাসায় ১৬ জুন বুধবার সকালে কয়েকজন সংবাদকর্মী সংবাদ সংগ্রহের জন্য গিয়ে ঘটনার সত্যতার প্রমান পান। গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিত দেখে কৌশলে পিছনের দরজা দিয়ে ঘা’ঢাকা দেন শিক্ষক মিরাজুর ইসলাম মিরাজ। পরে স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানান, মিরাজুল ইসলাম মিরাজ প্রায় ৫-৬ বছর যাবৎ ঐ বাসায় ভাড়া থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি নাগরপুর উপজেলার বেকরা আটগ্রাম ইউনিয়নের বেকরা গ্রামে। তার বাবার নাম শাজাহান মিয়া। তিনি পূর্বে থেকেই শিক্ষকতা করতেন বর্তমানে মির্জাপুরে সোনালী ব্যাংকের গোড়াই শাখায় কর্মরত আছেন বলেও জানান এলাকাবাসী। তবে গোঁপনে ভাড়া বাসায় প্রাইভেট কোচিং পরিচালনার বিষয়টি তারা জানতেন না বলে অভিমত ব্যক্ত করেন তারা। এ ব্যাপারে ঐ শিক্ষক/ব্যাংক কর্মকর্তা মিরাজুর ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

Related Articles

Close