বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইল থেকে প্রেরিত করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসছে না নিয়মিত
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইল থেকে করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রির্পোট নিয়মিত আসছে না। গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৪ টি প্রেরিত রির্পোটসহ মোট ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোট পেন্ডিং রয়েছে। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেন্ডিং থাকায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের রোগী বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্য সচেতন মহল। টাঙ্গাইল থেকে প্রেরিত নমুনা পরীক্ষার রির্পোট যাতে ২৪ ঘন্টার মধ্যে আসে সে জন্য জেলাবাসী স্বাস্খ্য বিভাগ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় প্রেরনের কয়েকদিন পর রির্পোট আসায় করোনা শনাক্ত রোগীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে আরো আতঙ্ক বেড়ে যাচ্ছে। এদিকে মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য পিসি আর ল্যাব চালুর ঘোষনা দেওয়া হলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন হয়নি।
অপরদিকে টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষার জন্য ল্যাব চালুর ঘোষনা দিলেও এখন পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে টাঙ্গাইল জেলাবাসী করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার রির্পোট নিয়ে বিড়ম্বনা ও জটিলতায় পড়ছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা টাঙ্গাইল জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক বিশিষ্ট আইনজীবি, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মী এডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ দ্রুত টাঙ্গাইলে করোনা পরীক্ষার ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন।
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা: মো. ওয়াহেদুজ্জামান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ১৩৪টি নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার নমুনা পরীক্ষার কোন রির্পোট আসেনি। তিনি জানান জেলায় সর্বমোট ৫৯৮টি নমুনা পরীক্ষার রির্পোট পেন্ডিং রয়েছে। তিনি আরো জানান, জেলায় সর্বমোট ৩২৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে ১১৮ জন সুস্থ্য হয়েছে। মোট ৬ জন মারা গেছে। জেলায় বর্তমানে ৮জন বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে। টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডা: সদর উদ্দিন জানান, টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ডেডিকেটেড করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৯ জন রোগী ভর্তি হয়। তাদের মধ্যে ১৬ জন সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বর্তমানে ৩ জন ভর্তি রয়েছে।
এদিকে টাঙ্গাইলের ঝুঁকিপূর্ন মির্জাপুর পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড রেড জোন ও ১০ দিনের লক ডাউন ঘোষনা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। মঙ্গলবার সকাল থেকে লক ডাউন এলাকায় সকল প্রকার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ লক ডাউন সফল করতে কাজ করছে। মির্জাপুরে এ পর্যন্ত ৭৭ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে।