বিনোদন
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্মরণে মুরাদ-রাজীব-পলাশের সুরের পাখি
বিনোদন প্রতিবেদকঃ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। বাংলা সংগীতের মুকুটহীন রাজা তাকে বলা যায়। দেশের এই প্রখ্যাত সংগীতজ্ঞ একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাও। লাল সবুজের ঐ পতাকা অর্জন করতে কৈশোরে কলম ছেড়ে স্টেন গান হাতে ঝাপিয়ে পড়েছিলেন দেশকে মুক্ত করার প্রত্যয় বুকে নিয়ে। আর যুদ্ধ শেষে তিনি অস্ত্র রেখে হাতে তুলে নিয়েছিলেন গীটার। তারপর গীটারের সাথে সুরের সাগরে খেলে বেড়িয়েছেন ইচ্ছেমতো। অসংখ্য কালজয়ী গান উপহার দিয়ে বাংলা গানকে করেছেন সমৃদ্ধ। এই মহান সংগীতজ্ঞ এ বছরই আমাদের ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে। কিন্তু তার অনুপস্থিতিতেও তাকে যে সবাই মনে রেখেছে সেটাই প্রমাণিত হলো তার স্মরণে তৈরী গানের মাধ্যমে। ।
‘তুমি আছো সবকটা জানালার পাশে/মিশে রবে সৃষ্টির বিজয় উল্লাসে/তোমার লেখা যতো অবিনাশী গান/যাদু ভরা সুরে নাচে অসুরের প্রাণ/ তোমায় ভুলি যদি কোনদিন /হবে চির নিন্দিত ভুল/তুমি বাংলার মুক্তিসেনা/সুরের পাখি বুলবুল’ এমন কথামালায় তাকে নিয়ে গান বেধেছেন মুরাদ নূর, রাজীব ও এ এইচ পলাশ। গানটির কথা লিখেছেন পলাশ, সুর করেছেন মুরাদ নূর আর এতে কন্ঠ দিয়েছেন রাজীব। সুরের পাখি শিরোনামের এই গানটির সংগীত পরিচালনা করেছেন মুশফিক লিটু।
সুরের পাখি নিয়ে রাজীব বলেন, বুলবুল স্যার বাংলা গানের প্রাণপুরুষ। তাঁর অসাধারণ মৌলিক সৃষ্টিতে বাংলাগান বিশ্বে বেশ সমৃদ্ধ। নূরের উদ্যোগে আমি সম্মানিত। স্যারকে স্মরণ করেই আমাদের সুরের পাখি নির্মান। কথা,সুর আর সঙ্গীতায়োজনের বেশ সমন্বয় হয়েছে৷ আমিও আত্মা দিয়ে গানের মাধ্যমে চেষ্টা করেছি স্যারকে স্মরণ করতে।
ভিন্ন এই আয়োজন নিয়ে মুরাদ নূর বলেন, আমি বরাবরই গুণীদের সাথে, তাঁদেরকে লালন করে কাজ করতে পছন্দ করি। গুণের সংস্পর্শে অনেক কিছু শেখা যায়। আজন্মকাল তাই শিখতে চাই। একজন বাঙালি সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে বুলবুল স্যারের প্রতি আমাদের অনেক দ্বায় আছে। বরেণ্য বাংলাদেশকে শ্রদ্ধা জানাতেই আমাদের সুরের পাখি সৃষ্টি। পলাশের লেখনী আর রাজীবের গায়কীতে নিঃসন্দেহে তা ফুটে উঠেছে। আসছে পহেলা জানুয়ারি ২০২০ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ৬৪তম জন্মদিন উপলক্ষে জি সিরিজ’রইউটিউব চ্যানেলে সহ অন্যান্য ডিজিটাল মাধ্যমে প্রকাশিত হবে।