বিনোদন

যুগের বা সময়ের কথা না ভেবে ভাল গান করে যেতে চাই II যাদু রিছিল

গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী যাদু রিছিল
গীতিকার, সুরকার ও কণ্ঠশিল্পী যাদু রিছিল

গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীত শিল্পী যাদু রিছিল। সম্প্রতি তার সুরে কন্ঠ দিয়েছেন ওপাড় বাংলার জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নচিকেতা ও শুভমিতা। গান ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে যাদু রিছিলের সাথে কথা বলেছেন রাফিউজ্জামান রাফি।

 

কেমন আছেন?

: ভাল আছি।

আপনি একাধারে সুরকার, গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী। কিন্তু নিজেকে কি হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন?

: মিউজিক এর সবকিছুতেই এখনো শিখছি মাত্র। তবে সুর করতেই বেশি ভালোলাগা কাজ করে।

গানের সাথে পথচলা কবে থেকে?

: ছোটবেলা থেকেই।

গানের হাতেখড়ি কার কাছ থেকে?

:মুলত পরিবার থেকেই শুরু। এরপর অনেক জনের কাছ থেকেই শিখেছি। এখনো শিখছি প্রতিনিয়তই। পরিবারের কার সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেরণা ছিল গানের প্রতি।

মধ্যবিত্ত পরিবারের ছেলে গান বাজনা করতে গেলে পারিবারিক প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে আপনাকে?

: একদমই না। সবসময়ই পরিবার থেকে সাপোর্ট পেয়েছি। আমার মা বাবা দুজনেই গান করতেন। মান্দি জনগোষ্ঠীর বেশ কয়েকটা এভারগ্রিন গানের শিল্পী আমার মা ও বাবা। যেমন দিং দিং ও হাই সারি রিনা মা উল্লেখযোগ্য।

কেন মনে হলো অন্য কোনো পেশায় না গিয়ে গানের সাথেই পথ চলতে হবে?

: গান তো মনের ব্যাপার। আত্বার আত্বীয়। সে টানেই চলে এসেছি এ পথে।

গানের সাথে পথচলা কতটা সুখকর? মনের খোরাক ও বাস্তবিক চাহিদা সবই কি স্বচ্ছল ভাবে মেটানো যায়?

: শিল্পী হওয়া কঠিন একটা ব্যাপার। সুখ দুঃখ মিলিয়েই জীবনটা পার করতে হয়। শিল্পী হতে চাইলে অনেক কিছুই ছাড় দিতে হয় মেনে নিতে হয়, কষ্ট করতে হয়। সচ্ছলতার চিন্তা বাদ দিয়েই শিল্পী হওয়ার চেষ্টা করে যেতে হয়।

আপনার সুর করা কোন গানটি প্রথম কম্পোজিশন করা হয় এবং সেটি কে গেয়েছিল?

: আমার সুর করা গানের প্রথম কম্পোজিশন হয় আমি বন্ধু তোমার হবো গানটি। গানটি আমিই গেয়েছিলাম। পরে আমার সুরে প্রথম কন্ঠ দিয়েছিলেন তাহসান। আর আমার প্রথম সুর করা গান ছিলো সপ্নস্নান গানটি। যে গানটি সম্প্রতি স্নিগ্ধা থিগিদি গেয়েছেন।

এপাড় বাংলা ওপাড় বাংলার অনেকের সাথে কাজ করেছেন। এ বিষয়ে কিছু বলুন।

: বলতেই হচ্ছে যে ভাগ্য খুবই ভালো আমার। সংগীতে শিখছি মাত্র। এরমধ্যে দুই বাংলার অনেক খ্যাতিমান লিজেন্ড শিল্পীরাই আমার সুর ও সংগীতে কন্ঠ দিয়েছেন। উনাদের সাথে কাজ করার সৌভাগ্য ও শেখার সুযোগ আমাকে এই পর্যায়ে নিয়ে এসেছে।

কার সাথে কাজ করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন?

: আমি আসলে সবার সাথেই কাজ করতে সাচ্ছন্দ বোধ করি। তবে এর মধ্যেও বলতে হলে সামিনা দি( সামিনা চৌধুরী) ও ফাহমিদা আপুর কথা বলতে হয়। উনাদের সাথেই বেশি কাজ করা হয়েছে আমার।

সম্প্রতি আপনার সুরে শুভমিতা ও নচিকেতা গান করেছেন। আপনার অনুভূতি কি?

: শুভমিতা দি এই প্রথম আমার সুরে গাইলেন। নচিকেতা দার সাথে এর আগেও কাজ করেছি। ব্যাপারটা অবশ্যই সৌভাগ্যের, আনন্দের ও গর্বের।

আপনি একজন সংগঠকও। আদিবাসী মেয়েদের নিয়ে এফ মাইনর নামে একটি ব্যান্ড গড়েছেন। ব্যান্ডটি এখন নারী উন্নয়নের একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত। ব্যান্ডটি সম্পর্কে কিছু বলুন।

: আমি মুলত একজন কর্মী। সংগঠক নই, হতেও চাইনা। উৎসাহ অনুপ্রেরনা দিতে পারি শুধু। আমার কাজ মুলত শিশুদের সাথে। মৃত্তিকা (জাতিতাত্বিক লোকায়িত জ্ঞান ও সংস্কৃতি পাঠকেন্দ্র) এর একজন কর্মী হয়ে শিশুদের সাথে কাজ করি। এর বাইরে তিনটি নারী ব্যান্ড দলের সাথেও কাজ করছি। এরমধ্যে একটা এফ মাইনর। ওরা নারী দল হিসেবে বেশ ভালই সুযোগ পাচ্ছে, কাজ করছে। এগিয়ে যাক। আর বাকি দলগুলোও বেশকিছুদিনের মধ্যেই নিজেদের গান নিয়ে হাজির হবে নিশ্চয়ই।

গান নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা কি?

: গানের সাথেই জীবন যাপন আমার। জীবনের বর্তমান ভবিষ্যত তো সবই গান নিয়ে। যুগের বা সময়ের কথা না ভেবে ভাল গান করে যেতে চাই সবসময়। আর মান্দি ব্যান্ড ব্রিং এর একজন সদস্য আমি। ব্রিং নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। মান্দিদের জীবন যাপন আচার অনুষ্ঠান ইতিহাস ঐতিহ্য সংস্কৃতি সবকিছু গানের মধ্যদিয়ে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে চাই এই ব্যান্ড এর হয়ে।

Tags

Related Articles

Close