বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

ময়মনসিংহের ভালুকায় কোচিং করতে গিয়ে সতীর্থদের আঘাতে চোখ হারাল সুবর্ণা

bhalukaনিজস্ব প্রতিবেদক: নিজ বিদ্যালয়ে কোচিং করতে গিয়ে সতীর্থদের কাঁচির আঘাতে চোখ হারাল সমাপনী পরীক্ষার্থী সুবর্ণা আক্তার (১১)। ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার আঙ্গারগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সুবর্ণা আক্তার (১১)।

শনিবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে ওই প্রতিষ্ঠানের কক্ষে কোচিং ক্লাস করতে গেলে তার সতীর্থরা কাঁচির ঘা দিয়ে তার চোখ নষ্ট করে দিয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা যায়, কোচিং করার জন্য সকাল সাড়ে ৮টার সময় স্কুলে যায় আঙ্গারগাড়া গ্রামের আবদুল হাকিমের একমাত্র মেয়ে সুবর্ণা আক্তার। এ সময় সুবর্ণার সহপাঠী মুন্না, আসিফ, মিজান, রাব্বি, রাকিব,সজীব, সুমন ও ইশতিয়াক স্কুলের উত্তর পাশের একটি পরিত্যক্ত কক্ষে ধুমপান করছিল। এ সময় সুবর্ণা ও তার বান্ধবীরা পাশের কক্ষের সহপাঠীদের ধুমপান করার দৃশ্য ভাঙ্গা দরজার ফুটো দিয়ে দেখছিল। যখন সুবর্ণা দরজার ফুটো দিয়ে দেখছিল তখন মুন্না ও আসিফ কাঁচি দিয়ে ঘা দিলে সুবর্ণা বাম চোখে আঘাত লাগে।

 এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে পাশেই আঙ্গারগাড়া বাজারে তার বাবা চায়ের দোকানে নিয়ে যায়। সেখান থেকে সুবর্ণার বাবা তাকে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। চোখের অবস্থা খারাপ দেখে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। রোববার সকালে সুবর্ণার চোখ অপারেশ করা হয়। ডাক্তার জানান, সুবর্ণার বাম চোখ অন্ধ হয়ে গেছে সে আর ওই চোখে কিছুই দেখবে না।

সুবর্ণার বাবা আবদুল হাকিম জানান, আমি একজন চা বিক্রেতা আমার একমাত্র মেয়েকে শত্রুতা করে ঘা দিয়ে চোখ নষ্ট করে দিয়েছে। অপারেশনের পর ডাক্তার জানিয়েছেন সে ওই চোখে আর দেখবে না। আমার মেয়েটি কোচিং করতে এসে চোখ হারাল। মেয়ের অপারেশন শেষ হয়েছে, আজকে এসে আমি এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দিব।

আঙ্গারগাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তোফায়েল আহম্মেদ জানান, কিসের আঘাতে সুবর্ণা চোখ আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে আমি জানি না। কে করেছে সেটাও জানি না।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জুয়েল আশরাফ জানান, আমি তো কিছুই জানি না। হেড মাস্টার তো কিছুই বলেননি।

ভালুকা মডেল থানার ওসি জানান, এ ব্যাপারে আমার কাছে কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Related Articles

Close