নিউজডেস্ক, নিউজরুমবিডি.কমঃ শুক্রবার রাজশাহী ও যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, মেঘলা আবহাওয়ায় বাতাসে তাপমাত্রা বেশি থাকায় সর্বত্র অস্বস্তিকর গরম অনুভূত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মাদারীপুর, বরিশাল ও পটুয়াখালী অঞ্চলসহ রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের উপর দিয়ে যে মৃদু তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তা বরিশাল ও ঢাকা বিভাগের কিছু অংশেও বিস্তৃত হতে পারে। পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
একজন পূর্বাভাস কর্মকর্তা বলেন, “জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় সপ্তাহেই ভ্যাপসা গরমে নাগরিক জীবনে অস্বস্তিকর অবস্থা বিরাজ করছে। রাজধানীসহ দেশের অধিকাংশ এলাকায় চলমান এ তাপদাহ আরও অন্তত দুদিন অব্যাহত থাকতে পারে।”
আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৈশাখের শেষে এ তাপদাহ শুরু হয়ে গত এক সপ্তাহ ধরেই তা চলছে। গ্রীষ্মকালে এমন আবহাওয়া স্বাভাবিকই বলা যায়।
জুন মাসের প্রথমার্ধে সারাদেশে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর (বর্ষা) বিস্তার ঘটলে পরিস্থিতি কিছুটা সহনীয় হয়ে আসতে পারে বলে জানিয়েছেন তারা।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় একটি লঘুচাপ অবস্থান করেছে যার বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু রেঙ্গুন উপকূল পর্যন্ত বিস্তার লাভ করছে।
শনিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আকাশ আংশিক মেঘলাসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
অধিদপ্তরের পরিচালক মো. শাহ আলম জানান, মে মাসে দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহ (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি) এবং অন্য এলাকায় দুই থেকে তিনটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) বা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এ মাসের শেষার্ধে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে আকষ্মিক বন্যার শঙ্কাও প্রকাশ করেছে অধিদপ্তর।
তাপদাহে ‘কাঠফাটা’ রোদের মধ্যে রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে ‘আগুনে’ হাওয়া। প্রচণ্ড গরমে দিশেহারা বরেন্দ্র জনপদ।
শুক্রবার রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক দেবল কুমার বলেন, “রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে মাঝারি মাত্রার তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। বাতাসে আর্দ্রতা কমে যাওয়ায় উত্তাপ বেড়েছে। সকালে বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ, দুপুরে তা নেমে আসে ৫০ শতাংশে।”
(সূত্র: অনলাইন)