বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
মির্জাপুরে দেশের সবচেয়ে ক্ষদ্রাকৃতির প্রতিমায় দুর্গাপূজা করছে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে: মির্জাপুরে দেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাাকৃতির প্রতিমায় দুর্গাপূজা করছে রিংকু পাল নামে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী । উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের হাট ফতেপুর গ্রামের পালপাড়া এলাকায় এই পূজার আয়োজন করা হয়েছে।
জানা গেছে, এ বছর রিংকু প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেবে। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জনের পাশাপাশি তার পরিবার ও দেশের মঙ্গল কামনায় রিংকু নিজেই দুর্গাপূজা করার উদ্যোগ নেয়। এতে রিংকুর বাবা ফতেপুর বাজারের কাপড় ব্যবসায়ী শ্রীবাস পাল অর্থের জোগান দেন। বাবার দেয়া অর্থে রিংকু নিজেই ফতেপুর বাজার থেকে রং, প্রতিমার জন্য কাপড় ও গহনাসহ প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে আনেন। পরে রিংকু মাটি দিয়ে নিজেই প্রতিমা তৈরী করে।
শুক্রবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে ওই পূজা মন্ডপের চিত্র। সেখানে রিংকু তার সহপাঠি অজয়, শান্তি, অপু ও ক্ষুদিরামসহ কয়েকজন মিলে প্রতিমা দেখতে আসা লোকজনের মধ্যে প্রসাদ বিতরণ করছে। এতে রিংকু মা মালতী রানী পাল তাদের সহযোগিতা করছেন।
রিংকুর বাবা শ্রীবাস পাল জানান, ছেলেকে দুর্গাপূজার জন্য তিনি ৫ হাজার টাকা দিয়েছেন। এ টাকাতেই সে পূজা শেষ করবে। পূজার জন্য বানানো মূর্তিগুলোর মধ্যে একমাত্র দূর্গার প্রতিমাটিই বড়- যার উচ্চতায় মাত্র নয় ইঞ্চি।
রিংকু পাল জানায়, সে এ বছর সমাপনী পরীক্ষা দেবে। এ জন্য নিজেই মা দুর্গার আশির্বাদের আশায় প্রতমা তৈরী করেছে। এতে তার সহপাঠীরা সাহায্য করছে।
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান ঐক্য পরিষদ ভাতগ্রাম ইউনিয়ন শাখার সাধারণ সম্পাদক প্রমথেশ গোস্বামী বলেন, শিশু রিংকুর উদ্যোগে যে লক্ষ ও উদ্দেশ্য নিয়ে পূজা হচ্ছে তা নি:সন্দেহে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পূজা বলে তিনি মনে করেন।
মির্জাপুরের পাকুল্যা গ্রামের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কবি গোপাল কর্মকার বলেন, ‘শারদীয় দুর্গোৎসব সাধারণত বড়সর এবং মহা ধুমধামে হয়ে থাকে। এত ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতিমা দিয়ে বিগত দিনে শারদীয় পূজা হয়েছে কিনা তা তার জানা নেই। এই পূজাটি দেশের সবচেয়ে ক্ষুদ্রাকৃতির প্রতিমা দিয়ে হতে পারে।