বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঝিনাইদহে দুদকের গনশুনানী টক অব দি টাউন
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহে বুধবার দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গনশুনানী এখন টক অব দি টাউনে পরিণত হয়েছে। সরকারী কর্মকর্তাদের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের ও অভিযুক্ত কর্মকর্তাদের জবাবদানে সন্তষ্ট হতে পারেনি সচেতন মানুষ। তাই বুধবার বিকাল থেকেই শহরের আনাচে কানাচে ও চায়ের দোকানে বিষয়টি নিয়ে ঝড় ওঠে।
বৃহস্পতিবার অনেকের বলতে শোনা যায় এই গনশুনানীতে কোন কাজ হবে না। থামবে না দুর্নীতি। বিশষে করে তাৎক্ষনিক ভাবে কোন কর্মকর্তার শাস্তি ও অভিযোগ নিস্পত্তি না হওয়ায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন কেও কেও। ঝিনাইদহ সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী সেলিম আজাদ খানকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত করতে না পারা স্থানীয় প্রশাসনের ব্যার্থতা বলেও দোষারোপ করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে যখন একের পর এক সওজের দুর্নীতির তথ্য উপস্থাপন হচ্ছিল তখন নির্বাহী প্রকৌশলী এসি ছেড়ে দিয়ে দিব্যি তার অফিসে বসে ছিলেন। তিনি সবাইকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়েছেন। তার এই গাদ্দারী মার্কা আচরণের কোন বিহিত করতে পারেননি দুদক কমিশনার। তবে জবাবদিহীমুলক এই অনুষ্ঠানকে অনেকই আবার ইতিবাচক বলে মনে করছেন। তাদের ভাষ্য আর যাই হোক শত শত মানুষের মধ্যে দুর্নীতিবাজ হিসেবে তো আখ্যা পাচ্ছে কিছু ঘুষখোর কর্মকর্তা। এটাই আমাদের শান্তনা।
উল্লেখ্য বুধবার ঝিনাইদহ ডাঃ কে আহম্মদ পৌর কমিউনিটি সেন্টার মিলনায়তনে দুদকের কমিশনারের উপস্থিতিতে গনশুনানীর আয়োজন করা হয়। সেখানে অভিযোগের পাহাড় দেখে দুদক কমিশনার এএফএম আমিনুল ইসলাম বলেন, সরকারী সব অফিস আজ দুর্নীতে নিমজ্জিত। তাদের বিরুদ্ধে মানুষের এতো অভিযোগ তারই প্রমান করে।
গণশুনানীতে শাতাধীক অভিযোগ জমা হলেও ৬৬টি আবেদন আমলে নিয়ে শুনানী করা হয়। শুনানীতে অনেক সরকারী অফিসের থলের বিড়াল বেরিয়ে আসে। মানুষের সেবা দেওয়ার নামে ঘুষ বানিজ্য ও হয়রানীর বিষয়টি তুলে ধরে ভুক্তভোগীরা।