বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঝিনাইদহের বাজার গোপালপুর ক্যাম্প পুলিশের বিরুদ্ধে জনগন কর্তৃক আটক গরু চোরকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ
মোঃ জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ সংবাদদাতা : ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বাজার গোপালপুর ক্যাম্প পুলিশের বিরুদ্ধে জনগন কর্তৃক আটক গরু চোরকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। জনগনের দাবির মুখে অবস্থার বেগতি দেখে দ্রæত দূর্গাপুর গ্রামের হাসু নামের একজনকে আটক করে সদর থানায় প্রেরন করেছেন। পুলিশ অভিযুক্তকে চোরকে ছেড়ে দেযার পর থেকেই সে গা ঢাকা দিয়েছে।
এ বিষয়ে গস্বাক্ষরিত অভিযোগ গত শনিবার ঝিনাইদহ সদর থানাও প্রেসক্লাবে প্রেরন করা হয়েছে। অভিযোগে সুত্রে জানাগেছে, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার মধুহাটি ইউনিয়নের গ্রামগুলোতে চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। আর এসকল ঘটনা থেকে রক্ষা পেতে গ্রামবাসি দলবেঁধে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন।
গত ২৬ শে জুলাই রাতে দূূর্র্গাপুুর গ্রামের মাঠপাড়ার সলেমান হোসেন, মন্টু মিয়া, ফিরোজ হোসেন, মুকুল মিয়া, রেজাউল ইসলাম, সাগর হোসেনসহ কয়েকজন দলবেঁধে পাহারা দিচ্ছিল। রাত আনুমানিক ২টার সময় তারা শুনতে পান দূূর্র্গাপুুর গ্রামের আব্দুল অহেদ মন্ডলের ছেলে রেজাউল ইসলামের গোয়াল ঘর থেকে গরু চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
সে সময় পাহারাদলে সদস্যরাসহ গ্রামের লোকজন চিৎকার শুরু করে প্রতিরোধ গড়ে তুলে গ্রামের তোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে খলিলকে আটক করেন। খবর পেয়ে রাতেই স্থানীয় বাজার গোপালপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনা স্থলে যান। সে সময় নারি-পুুরষ মিলে প্রায় শতাধিক লোকজনের উপস্থিতিতে খলিল হোসেনকে পুলিশে দিলেও অজ্ঞাত কারনে ছেড়ে দেয়। পরদিন উত্তেজিত গ্রামের লোকজন ক্যাম্পে চোরকে ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে জানতে যান। জনগনের দাবির মুখে অবস্থার বেগতি দেখে দ্রæত দূর্গাপুর গ্রামের মহাতাপ আলির ছেলে হাসুকে আটক করে। গরুর মালিক হাসুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করতে অস্বীকার করলে সে সময় গরুর মালিক রেজাউল এবং হাসু দু’জনকেই ক্যাম্প কাস্টডিতে আটক রাখা হয়। পওে ক্যাম্প পুলিশের মাধ্যমে দু’জনকে ও রাতে পাহারাদারদের সদর থানায় যেতে বলা হয়।
এ ঘটনার পর থেকেই খলিল গং যে সকল লোকজন প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বড় ভুমিকা রেখেছিল ঘটনায় প্রাণ নাশের হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকেই অবিযুক্ত চোর গা ঢাকা দিয়েছে। এই ঘটনা বিষয়ে হাসুর স্ত্রী নিকট জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, তার স্বামী কোন ভাবেই এই গরু চুরির সাথে জড়িত নয়। গ্রামের কয়েক জনের চক্রান্তে এবং পুলিশ ক্ষমতার অপব্যবহার করে তার স্বামীকে জেল খাটাছেন। তিনিও প্রকৃত চোরকে আটকের দাবি করেন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত খলিলের সাথে যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যাইনি। তার ব্যবহৃত মাবাইল ফোনটিও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগের ব্যাপারে বাজার গোপালপুর পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ সঞ্জয় কুমারের নিকট মোবাইলে ফোনে জানতে চাইলে তিনিও ঘটনার তদন্তের দাবি করেন। এবিষয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার তদন্ত কর্র্মকর্র্তা (ওসি) এনামুল হক শেখ জানান, গ্রামবাসির অভিযোগ যাচাই করে অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জোর প্রচেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।