ক্যাম্পাসবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
চর গোসাইয়ে গ্রামীনফোনের অনলাইন স্কুল
ফাহিম ভূঁইয়া , লক্ষীপুর থেকে, নিউজরুমবিডি.কম : আধুনিক বিজ্ঞানের এক আকস্মিকতা হলো ইন্টারনেট। প্রযুক্তিনির্ভর জগতে ইন্টারনেট এখন আর শুধু ব্যবসা – বানিজ্য বা যোগাযোগ ব্যবস্থায় নয়, শিক্ষাক্ষেত্রেও অবদান রেখে চলছে অবিরত। আর এক্ষেত্রে, বিভিন্ন দেশের সাথে তাল মিলিয়ে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও।
‘জাগো ফাউন্ডেশন’ ও ‘গ্রামীনফোন’ এর উদ্যোগে এই অনলাইন স্কুল কার্যক্রম শুরু করে। ২০০৭ সালে ঢাকার রায়ের বাজারের একটি বস্তি এলাকায় কিছুসংখ্যক দরিদ্র শিশুদের নিয়ে প্রথম শুরু করে এই দুটি কোম্পানি।
লক্ষ্মীপুর ছাড়াও বর্তমানে লক্ষ্মীপুর, রায়ের বাজার, গাজীপুর, টেকনাফ, বান্দরবন, লালখান বাজার, রাজশাহী, রংপুর, দিনাজপুর, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, হবিগঞ্জের চা বাগান পর্যন্ত বিভিন্ন দুর্গম এলাকায় ১০টি স্কুল রয়েছে।
এর আগে ২০১২ সালের শুরুর দিকে গাজীপুরে গ্রামীণফোন দেশের প্রথম অনলাইন স্কুল চালু করে। পরে ঢাকার দুটি এলাকায় আরও দুটি স্কুল চালু করে অপারেটরটি। শ্রেণী কক্ষে প্রবেশ করে দেখা গেলো, শিক্ষার্থীদের সবাই সামনের একটি বড় মনিটরের দিকে তাকিয়ে আছে। মনিটরে দেখা যাচ্ছে, এক শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের পাঠ বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ওই শিক্ষিকা মূলত ঢাকায় বসে ক্লাস নিচ্ছেন, আর তার কথা রামগতির চর গোসাই গ্রামে অবস্থিত এক স্কুলে বসে ক্ষুদে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা শুনছেন।
এদেশে অনলাইন স্কুল ধারণাটি নতুন। এ ধরনের স্কুলে দূরবর্তী কোনো এলাকা থেকে ভিডিও কলের মাধ্যমে পাঠদান কার্যক্রম চালানো হয়। চর গোসাইয়ের স্কুলটিতে ঢাকার রায়ের বাজার থেকে অভিজ্ঞ শিক্ষকরা ক্লাস নিয়ে থাকেন।
এক ছাত্র জানায়, স্কুলটি তার অনেক ভালো লাগে। প্রতিদিন সকালে উঠে স্কুলে আসে। কখনো কেউ মারে না, পড়া না পারলে বুঝিয়ে দেয়। অনলাইন স্কুলগুলোতেও ন্যাশনাল কারিকুলাম অ্যান্ড টেক্সট বুক বোর্ড বাংলাদেশ সিলেবাসে স্কুলের পাঠদান হয়ে থাকে। স্কুলটিতে গ্রামীণফোন বিশেষ ইন্টারনেট সংযোগের পাশাপাশি দিচ্ছে আর্থিক যোগান। আর অগ্নি সিস্টেম নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিচ্ছে আইটি সাপোর্ট।