ক্যাম্পাসজাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
শৈলকুপায় প্রধান শিক্ষকের নেতৃত্বে সহকারি শিক্ষককে পেটানোর অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের শৈলকুপায় গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রাজিবুল হাসান ও তার সহযোগিরা এ হামলা করে বলে বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছে সহকারী শিক্ষক সুজনুজ্জামান। বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক সুজনুজ্জামান বলেন, প্রধান শিক্ষক রাজিবুল হাসান স্নীপফান্ড, প্রাক-প্রাথমিকসহ বিদ্যালয়ের সরকারি বরাদ্দের টাকা অনিয়ম ও দূর্নীতির মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে আত্মসাত করে আসছিল। এ বিষয়ে তিনি প্রতিবাদ করায় তার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে ছিলেন। দুপুর হঠাৎ প্রধান শিক্ষক স্কুল সংলগ্ন এলাকার আফান নামের এক ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী ডেকে লাঠিসোটা দিয়ে তার উপর হামলা চালিয়ে বেধড়ক মারপিট করে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শৈলকুপা হাসপাতালে ভর্তি করে। এ সময় আফরোজা নামের এক অভিভাবক ঠেকাতে গেলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে লাঞ্চিত করে।
তিনি আরো জানান, নানা অনিয়মের মধ্যে চলতে থাকা বিদ্যায়টির অর্থনৈতিক তহবিলসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র তদন্ত করলে প্রধান শিক্ষকের অর্থলোপাটের মুখোস উন্মোচন হবে। উমেদপুর ইউনিয়ন পরিষদ কমপ্লেক্স এর সম্মুখে অবস্থিত গোবিন্দপুর স্কুলের প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত রাজিবুল হাসানের বিরুদ্ধে এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, তিনি যোগদানের পর থেকেই প্রতিষ্ঠানের বেহালদশা, বিদ্যালয়টির লেখাপড়ার মানগুন নিয়েও নানা প্রশ্ন উঠেছে।
স্থানীয় একাধিক অভিভাবক জানান, প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় বেপরোয়া আচরণ করে থাকেন। কোন অনিয়মের প্রতিবাদ করলেই তার বিরুদ্ধে হুমকি-ধামকি ভয়ভীতি প্রদান করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্কুল সংলগ্ন এক ব্যক্তি জানান, রাজিবুল হাসান পূর্ব থেকেই অর্থলোভী ও ফাঁকিবাজ শিক্ষক, গ্রামের ছেলে বলে তেমন কেউ কিছু বলেনা। এলাকাবাসীর দাবি সত্বর গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকে দূরে কোথাও বদলী হওয়া প্রয়োজন। সহকারি শিক্ষকের উপর হামলার সত্যতা শিকার করে একাধিক ব্যক্তি জানান, আহত সহকারী শিক্ষক সুজনুজ্জামানের লিখিত অভিযোগের সূষ্ঠু তদন্ত ছাড়াও রাজিবুল হাসানকে অন্যত্র বদলীসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এখন সময়ের দাবি।
আহত শিক্ষক সুজনুজ্জামান আরো বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হলেও পুনরায় হামলার আতঙ্কে স্কুলে যেতে পারছেন না এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। মোবাইল রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ ইসরাইল হোসেন জানান, লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের প্রতিবেদন পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনা নেক্করজনক বলে তিনি মন্তব্য করেন।