জাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা সদস্যদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী পালন

নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ শনিবার পালিত হলো ২০০৯ সালে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহত সেনা সদস্যদের অষ্টম মৃত্যুবার্ষিকী।

আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সকালে বনানীর সামরিক কবরস্থানে নিহতদের কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে পিলখানায় নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে তার সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদীন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ,  ভারপ্রাপ্ত বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহম্মেদ এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে নিহতদের স্মরণ ও শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। এ সময় উপস্থিত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া-মোনাজাত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টা ২৭ মিনিটে পিলখানায় চলমান বার্ষিক দরবারে একদল বিদ্রোহী বিডিআর সৈনিক ঢুকে মহাপরিচালকের বুকে আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে। বিডিআরের বিদ্রোহী সৈনিকরা আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং সেনা কর্মকর্তাদের হত্যা করে ও তাদের পরিবারকে জিম্মি করে। পিলখানার চারটি প্রবেশ গেটই তারা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আশপাশের এলাকায় গুলি ছুঁড়তে থাকে। ওই ঘটনায় ৫৭ জন মেধাবী সেনা কর্মকর্তা ছাড়াও একজন সৈনিক, দুজন সেনা কর্মকর্তার স্ত্রী, ৯ জন বিডিআর সদস্য ও ৫ জন বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হন।

বিদ্রোহের এ ঘটনায় দায়ের করা হত্যা মামলায় বিশেষ আদালত ১৫২ জনকে ফাঁসি, ১৬১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২৬৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা প্রদান করেন। ২৭১ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

Related Articles

Close