নিউজরুমবিডি.কম: ঈদে জনসাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে নানা উদ্যোগ গ্রহণকল্পে মঙ্গলবার ঢাকার বিয়াম মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হলো ‘আসন্ন ঈদ উপলক্ষে সড়কপথে যাত্রী সাধারণের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করার লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা’।
সব সিএনজি স্টেশন ১০ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা রাখার বিষয়ে জ্বালানি মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নেবে জানিয়ে সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী ১০ জুলাই থেকে ১৯ জুলাই বাংলাদেশের সব সিএনজি স্টেশন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। ঈদের তিন দিন আগে ও পরের তিন দিন জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে ট্রাক, কর্ভাড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ থাকবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য-দ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, গার্মেন্ট পণ্য, ওষুধ, কাঁচা চামড়া এবং জ্বালানি বহনকারী যানবাহন এর আওতামুক্ত থাকবে।
তিনি আরো বলেন, ঈদে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থাকবে। মহাসড়ক, রেল ও নৌপথে বড় ধরনের দুর্ঘটনা মোকাবেলায় হেলিকপ্টার ব্যবহার করার উদ্যেগ নেওয়া হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে, লক্কর-ঝক্কর গাড়ি অফলোড করে দেওয়া ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।”
বৈঠকে আশুলিয়া-বাইপাইল সড়ক সংস্কার নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অসন্তোষ প্রকাশ করলে ওবায়দুল কাদের উপস্থিত প্রকৌশলীদের উদ্দেশে বলেন, “সারা বছর কি নাকে তেল দিয়ে ঘুমাবেন? প্রতি বছর আশুলিয়া-বাইপাইল সড়কে সমস্যা হবে, আর আপনারা বৃষ্টির দোহাই দেবেন- এবার এসব বিষয় সহ্য করা হবে না।”
গাবতলীর ইউলুপসহ কয়েকটি স্থানে সড়কের অবস্থা উন্নত না হওয়ায় যোগাযোগমন্ত্রী সভায় উপস্থিত সওজের প্রধান প্রকৌশলী ফিরোজ ইকবালকে বলেন, “আপনার মুখে হবে বলে কোনোদিন কিছু শুনিনি, এসব বিষয়ে ঈদের আগেই ব্যবস্থা নেবেন।”
রেলপথমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, আসন্ন ঈদে রেলে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে ট্রেনগুলোতে অতিরিক্ত কোচসহ নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, “ঈদের আগেই সব ফেরি সচল থাকবে। সড়কের যাত্রীদের জন্য মোবাইল টয়লেট এবং যত্রতত্র পার্কিং ও উঠানামা বন্ধ করতে হবে।”
স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল ঈদযাত্রীদের নিরাপত্তায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান।
মালিক পক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি বলেন, “আনফিট গাড়িগুলো দয়া করে আপনারা চালাবেন না।”
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন মেয়র আনিসুল হক বলেন, রাস্তা আটকে কেউ নির্মাণ কাজ করলে সেই নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।
“ঢাকার রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি সহযোগিতা করে তাহলে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আমার এলাকার ট্রাফিক সমস্যা সমাধান করতে পারব,” বলেন তিনি।
মহাসড়ক পুলিশের ডিআইজি মল্লিক ফকরুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে মহাসড়কে ৭১টি পয়েন্টে সমস্যা বা রাস্তা খারাপ আছে, এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এমএএন ছিদ্দিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।