ক্যাম্পাসবাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
কর্মীর কবর জিয়ারত করলেন ঢাবি ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত
নগদ আর্থিক সহায়তাদান সহ নিলেন কর্মীর ছোট ভাইয়ের পড়াশুনার দায়িত্ব
নিজস্ব প্রতিবেদক, নিউজরুমবিডিঃ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস তাঁর কর্মীর টানে ছুটে গিয়েছিলেন মানিকগঞ্জে কর্মীর গ্রামের বাড়িতে। গতকাল বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ডাকসু’র স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক সাদ বিন কাদের চৌধুরী সহ কয়েকজন নেতা-কর্মী নিয়ে তিনি তাঁর বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কর্মী সদ্য প্রয়াত কাউসার হোসেনের গ্রামের বাড়ী মানিকগঞ্জে যান।
সেখানে গিয়ে তিনি কাউসারের কবর জিয়ারত করেন। কাউসারের পরিবারের সকলের খোঁজ খবর নেন এবং পরিবারের সাথে সময় কাটান। পরে তিনি কাউসারের পরিবারকে নগদ আর্থিক অনুদান দেন এবং কাউসারের ছোট ভাইয়ের পড়াশোনার দায়িত্ব নেন বলে জানা গেছে।
কর্মীর প্রতি এমন ভালোবাসার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রশংসায় ভাসছেন সঞ্জিত চন্দ্র দাস। ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় আইন সম্পাদক ফুয়াদ হোসেন শাহাদাত তাঁর ফেসবুক টাইমলাইনে সঞ্জিত চন্দ্র দাসের প্রশংসা করে লিখেন- ‘সনজিত দাদা কে নিয়ে অনেকে নেতিবাচক কথায় বলে অথচ এইযে একজন ছাত্রলীগের কর্মী মারা গেল কিছুদিন আগে কেউ একটু দেখতেও গেল না। ছাত্রলীগের সবাই অনেক কিছু নিয়ে ব্যস্ত অথচ যেই কর্মীটা সারাদিন জয় বাংলা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতো তার প্রতি সংগঠনের দায় শুধুমাত্র একটা প্রেস রিলিজ। মুক্তিযোদ্ধা হল ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক, হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক ছিল কিন্তু কার খবর কে রাখে। দম শেষ, দাম ও শেষ। কাউছার হোসেন মারা যাওয়ার পর প্রথম মরহুমার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন কারার জন্য তার পরিবারের কাছে গেল সনজিত দাদা। আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে তার গ্রামের বাড়িতে গেল অথচ সবাই কাউসার কে ভুলেই গিয়েছিল।’
এ বিষয়ে সরাসরি কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি সঞ্জিতের। তবে অনেকেই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সহ বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশংসায় ভাসালেও মোটেই ভেসে যাচ্ছেন না সঞ্জিত। তাঁর ঘনিষ্ট সূত্রে এমনটিই জানা গেছে। এটাকে নিজের দায়িত্ব, কর্তব্য ও ছাত্রলীগের একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মীর প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতা বলেই মনে করছেন প্রচার বিমুখ এই মানবিক ছাত্রলীগ নেতা।
উল্লেখ্য কাউসার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়াউর রহমান হল ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক এবং হল সংসদের সমাজসেবা সম্পাদক ছিলেন। বেশ কিছুদিন নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত থাকার পর চিকিতসাধীন অবস্থায় গত বছরের ২৮ নভেম্বর তিনি মৃত্যুবরণ করেন।