বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
দেলদুয়ারে প্রেমের ফাঁদে ফেলে দেড় বছর ধরে এক এনজিও কর্মীকে ধর্ষন!
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : প্রেমের ফাঁদে ও বিয়ের প্রোলভন দেখিয়ে দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের এক নিরিহ এনজিও কর্মীকে দেড় বছর যাবৎ ধর্ষন করে আসছে এক লম্পট যুবক। তার নাম হাবিব। সে পাথরাইল গ্রামের জোহের মিয়ার ছেলে। শুধু তাই নয় ছলচাতুরি করে মেয়ের কাছ থেকে ১ লাখ ৮০ হাজার টাকাও হাতিয়ে নিয়েছে এই প্রতারক যুবক।
অবশেষে বিয়ের দাবিতে গত ৬ দিন ধরে ছেলের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছে মেয়েটি এবং সুদি ব্যবসায়ী ও নারী লোভি বখাটে যুবক হাবিবের বিরুদ্ধে দেলদুয়ার থানায় সাধারন ডায়েরি করেছে এই ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানিয় মাতাব্বররা ঘটনার সুষ্ট মিমাংসা করতে ব্যর্থ হচ্ছেন। নির্যাতিতা মেয়ে জানায়, আমার মা মারা গেছে অনেক আগেই। বাবা আরেকটি বিয়ে করে ঢাকায় থাকেন। হত দরিদ্র দাদা দাদি আমাকে ভরন পোষন করছেন। আমি পেটের দায়ে কয়েক বছর ধরে স্থানিয় এক এনজিওতে কাজ করছি। আমার দারিদ্রতা ও সরলতার সুয়োগ নিয়ে গত দুই বছর যাবৎ হাবিব আমাকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ও বিয়ে করবে বলে আমার সাথে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করেছে। আমরা এর আগে বিভিন্ন হোটেলেও রাত্রি যাপন করেছি। আমি সাধারন ডায়েরি করেছি বলে হাবিব আমাকে ভুলিয়ে ভালিয়ে নির্জন এক স্থানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যার চেষ্টা করে।
পরে স্থানিয়রা টের পেয়ে আমাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে। পরে এলাকার সাধারন মানুষ, মাতাব্বর ও মেম্বারের কথায় হাবিব বিয়ে করেত রাজি হলে স্থানিয় মাতাব্বরদের নিয়ে আমি তার বাড়ি চলে আসি। কিন্তু হাবিব আমাকে বাড়িতে নিয়ে এসেই পালিয়ে যায়। গোপনে রাতে এসে আমাকে মারধর করে আবার পালিয়ে যায়। আমি কোন অর্থ জরিমানা নয় বরং হাবিবের স্ত্রী হিসেবে মর্যাদা পেতে চাই। অন্যথায় আত্মহত্যা করা ছারা আমার বিকল্প কোন উপায় থাকবেনা।
সরজমিনে হাবিবের ব্যাপারে এলাকায় অনুসন্ধান গেলে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকেই অভিযোগ করে বলেন, লম্পট হাবিব এজকন সুদি ব্যবসায়ী। সুদের ফাঁদে ফেলে অনেককেই তিনি পথের ফকির বানিয়েছে। সময় মতো টাকা না দিলে তিনি গ্রাহকদের মারধর করেন। মহিলা গ্রাহকদের টাকা না দিলে তাদের যৌন কাজ করাতে বাধ্য করেন। সুর্দশন চেহারার অধিকারি হাবিব কৌশলে এর আগেও ৩টি বিয়েও করেছেন। তাতেও তার লালসা না মিটলে এবার এক নিরিহ এনজিও কর্মীকে শিকার বানিয়েছেন। এক স্ত্রী থাকেন নাগরপুর উপজেলায় আরেকজন তার বাড়িতেই। অপর একজন কে কয়েক বছর আগে তালাক দিয়েছেন। আমরা তার দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করছি যাতে আর কোন বোনকে তার লালসার শিকার হতে না হয়। এ ব্যাপারে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এদিকে হাবিবের বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তার বাবা জোহের মিয়া জানান, আমার ছেলে আমাদের ভাত কাপড় দেয়না। আমি তার ব্যাপারে কোন কথা বলবো না। আমাকে কোন প্রশ্ন করবেন না। ঘটনার সতত্য স্বীকার করে ইউপি সদস্য রশিদ মিয়া জানান, বিয়ের দাবিতে মেয়েটি গত কয়েক দিন ধরে হাবিবের বাড়িতে অবস্থান করছে। হাবিব অত্যন্ত বাজে একটা ছেলে। সে কারোও কথা শোনেনা। আমি বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি কিন্তু তারা মানেনা।
এ ব্যাপারে এসআই আনিছুর রহমান জানান, ওই দিন আটিয়া ইউনিয়নের ভুরভুরিয়া গ্রামে জনতার হাতে আটক হওয়ার পরে স্থানিয়রা আমাদের খবর দিলে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে দুই পক্ষের মাতাব্বরা বিষয়টির নিয়ে এলাকায় বসে সমাধানের আশ্বাস দিলে আমি তাদের জিম্মায় দুই জনকে পাঠিয়ে দেই। এর পরে কোন পক্ষই আর আমাদের সাথে যোগাযোগ করেনি।