বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
বিরলে অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মাহমুদা’র পিতার হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান
জেড.আই জহির, বিরল (দিনাজপুর) : মঙ্গলবার বিকালে বিরল উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ,বি,এম, রওশন কবীর অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত শিশু মাহমুদা’র পিতা আব্দুর রহিমের হাতে চিকিৎসার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে আর্থিক সহায়তা তুলে দেন। সেই সাথে তিনি ঢাকা’র পিজি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তির দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, বিরল উপজেলার কামদেবপুর গ্রামের দিনমজুর আব্দুর রহিম এর কন্যা মাহমুদা’র হাত-পাসহ শরীরে আগুনের স্যাঁকা (আঁচ) লাগলে যেমন ফোঁসা পড়ে, তেমনি ফোঁসা উঠে ফেটে গিয়ে আঠালো রস বের হতে শুরু করে। আস্তে আস্তে ফোঁসার আঠালো রস দিয়ে হাত-পায়ের আঙ্গুলগুলো জোড়া লেগে গেছে। যতই দিন যাচ্ছে, ততই গোটা শরীরে ফোঁসা উঠছে। ফোঁসার যন্ত্রানায় ছট ফট করে শিশুটি। তখন খুবই কষ্ট লাগে। কিন্তু অর্থের অভাবে উন্নত চিকিৎসা করার সাধ্য আর পরিবারের নাই। চোখের সামনে অবুঝ শিশুটি ধুঁকে ধুঁকে মরছে। পরিবারের সদস্যদের মাথা গুজার নিজস্ব ঠাঁই টুকু নেই। অন্যের জমিতে বসবাস করে। ওই শিশুর জন্ম লংগ্ন থেকেই দারিদ্র্য আর সীমাহীন যন্ত্রনা নিয়ে দিন পার করছেন আব্দুর রহিম।
২০১৪ সাল থেকে পাবর্তীপুর ল্যাম্ব হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। কিন্তু কোন ফল পাচ্ছেন না। মাঝখানে গত বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারী এম আব্দুর রহিম (দিনাজপুর) মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তারকে দেখিয়েছিলেন। সেখানে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দিয়ে ছিলেন ডাক্তার। কিন্তু অর্থের অভাবে ঢাকার হাসপাতালে নিতে পারেননি।
অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত ওই শিশুর জন্ম গ্রহন করায় তাঁকে (মাহমুদা) চিকিৎসা করাতে গিয়ে এখন খুবই অসহায় পরিবারটি। বছর খানেক আগে অসুস্থ্য শিশুটির নামে প্রতিবন্ধি ভাতা করে দেন ইউপি চেয়ারম্যান। ওই টাকা দিয়ে তো আর চিকিৎসা হয় না। চিকিৎসা করার অর্থ তাঁদের নেই।
সবাই যদি সম্মিলিতভাবে রহিমের পাশে দাঁড়াত, তাহলে শিশুটির উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারত। আব্দুর রহিম সমাজ তথা দেশের ধনাঢ্য দানশীল ব্যাক্তিদের কাছে সাহায্য চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন। ডাচ্ বাংলা ব্যাংক, দিনাজপুর শাখার সঞ্চয়ী হিসাব নম্বর- ১৭২.১৫১.১৫২৩৯৬ এবং ডিবিবিএল মোবাইল ব্যাংকিং-০১৭৫১-৩০০১৭৮৩ নম্বরে সাহায্যের জন্য সকলের প্রতি আবেদন করেছেন মর্মে বিভিন্ন পত্রিকা, অনলাইন সংবাদ মাধ্যমসহ ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় সংবাদটি প্রকাশ হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তাঁর সহায়তার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।