বাংলাদেশ
শৈলকুপায় সিটি ডিগ্রী কলেজের প্রভাষকের এমপিও নিয়ে নানা প্রশ্ন একাধীক তৃতীয় বিভাগের খারণে ধামাচাপার চেষ্টা
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের শৈলকুপায় শৈলকুপা সিটি ডিগ্রী কলেজের এক প্রভাষকের এমপিও নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। একাধিক তৃতীয় বিভাগ থাকা স্বত্তেও তিনি এমপিও ভুক্ত হয়েছেন এবং সরকারী বেতন-ভাতা তুলছেন। বিষয়টি বছরের পর বছর আলোচিত হলেও তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে প্রতিষ্ঠান টি।
জানা গেছে কলেজটির পৌরনীতি বিভাগের প্রভাষক হাবিবপুর গ্রামের মৃত গোলাম কুদ্দুসের পুত্র শেখ মো: আব্দুল মান্নান ২০০০সালের মে মাসের ৪ তারিখে নিয়োগ পান কলেজটিতে। তার ইনডেক্স নম্বর-৩০০২৪৩৯। কলেজে তার সাক্ষাতকার পত্রে উল্লেখ রয়েছে এইচএসসি তৃতীয় বিভাগ ১৯৯০ সাল, বিএ(পাস) তৃতীয় বিভাগ, ১৯৯২ সাল, এমএসএস তৃতীয় বিভাগ, ১৯৯৫ সাল। তার বিপরীতের প্রার্থীরা দ্বিতীয় বিভাগ নিয়ে উত্তীর্ণ থাকলেও তাদের টপকিয়ে প্রথম করা হয় একাধিক তৃতীয় বিভাগের প্রার্থী আব্দুল মান্নান কে।
অথচ সরকারী প্রজ্ঞাপন, নিয়োগ বিধিতে ৩টি তৃতীয় বিভাগ থাকলে নিয়োগে সম্পূর্ণ অযোগ্য বলে বিবেচিত হওয়ার কথা। এ অবস্থায় পরে এ শিক্ষক এমএসএস এ দ্বিতীয় বিভাগের একটি সনদ কলেজে দাখিল করেছেন। তারপরও দুটি তৃতীয় বিভাগ তার শিক্ষা জীবনে রয়েছে। ২০০৩ সালের ৩ এপ্রিল শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে নিয়োগের ক্ষেত্রে শিক্ষা জীবনে যে কোন একটি পরীক্ষায় একটি তৃতীয় শ্রেণী / বিভাগ গ্রহনযোগ্য। এর পরও কিভাবে এমপিওভুক্ত হলেন এই শিক্ষক তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
২০০৭ সালে শৈলকুপা সিটি ডিগ্রী কলেজের পৌরনীতি বিভাগের প্রভাষক শেখ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ জেলা জজ আদালতে একটি মামলা দায়ের হয়, যার নং ১০১/২০০৭। সে মামলার কলেজের সকল প্রকার একাডেমিক ও প্রশাসনিক কর্মকান্ড থেকে বিরত থাকার জন্য অন্তবর্তীকালীন আদেশে বলা হয়েছিল। পরে বাদী কে স্থানীয় প্রভাব খাটিয়ে সে মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেয়া হয়।
অভিযোগ উঠেছে, বিভিন্ন সময়ে শিক্ষামন্ত্রনালয়ের অডিট এলেই কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি ম্যানেজ করে নেয় নানা উপায়ে। এসব নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ রয়েছে এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের মধ্যে। এদিকে মন্ত্রনালয়ের এক তদন্ত রিপোর্টে মন্তব্য কলামে উল্লেখ করা হয়েছে ঐ শিক্ষক এমপিওর যোগ্যতা রাখেন না, তারপরও অজ্ঞাত কারনে তাকে বহাল রেখেছে কলেজটি। অভিযোগ উঠেছে প্রিন্সিপাল এসব দেখে ও জেনেও কোন পদক্ষেপ নেননি।
এসব ব্যাপারে শৈলকুপা সিটি ডিগ্রী কলেজের পৌরনীতি বিভাগের প্রভাষক শেখ মো: আব্দুল মান্নানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অনেক কলেজেই এমন তৃতীয় বিভাগের শিক্ষক আছে, তার বিরুদ্ধে একটি মামলা হলেও তাতে জিতেছেন তাছাড়া মন্ত্রনালয় যে প্রজ্ঞাপন দিয়েছিল তা স্থগিত করায় তারা এমপিওতে বাধা নেই। কলেজটির অধ্যক্ষ মো: তোফাজ্জেল হোসেন বলছেন, আগের অনেকেই এভাবে বিভিন্ন কলেজে ঢুকেছিল, শিক্ষামন্ত্রনালয়ের প্রজ্ঞাপন তখন শিথিল ছিল।