বাংলাদেশ

হরিণাকুন্ডু বিআরডিবির পিও জহিরুদ্দীন বাবরের বিরুদ্ধে নিজ উপজেলায় পোস্টিং, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার ব্যাপক অভিযোগ

অভিযোগজাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু বিআরডিবির আওতাধীন পল্লী জীবিকায়ন প্রকল্প (পজীপ) এর দ্বিতীয় পর্যায়ের উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিও) জহিরুদ্দীন মোঃ বাবরের নিজ উপজেলায় পোস্টিং এ দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার পরিমার দিন দিন বেড়ে চলেছে। সরকারী নিয়মনীতিকে তোয়াক্ক করে প্রথম শ্রেনীর কর্মকর্তার হয়েও নিজ জেলায় পোস্টিং নিয়ে তবিয়াতে চাকুরী করে যাচ্ছেন। রেজুলেশনের কাটাকাটি, ডিপিও এ ফাইল ক্যাবিনেট চুরি করা, পছন্দের টি.এ দের বিল দেওয়াসহ বিভিন্ন অভিয়োগ রয়েছে। আর এসব অপকর্মের মূলে সহযেগিতার অভিযোগ রয়েছে বিআরডিবি হরিণাকুন্ডু অফিসের অফিস সহকারী আবুল হাসান সবুজ বিরুদ্ধে।

হরিণাকুন্ডেুর উপজেলা বিআরডিবির পজীপ এর ফাইল ও রেজুলেশন বুক সুত্রে জানা হেছে, পিও  জহিরুদ্দীন মোঃ বাবরের বাড়ী ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুন্ড উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের ভাদড়া গ্রামে। প্রথম শ্রেণীর কোন একজন কর্মকর্তা নিজ জেলায় কর্মস্থলে যোগদান করতে পারেন না। অথচ তিনি নিজ জেলায় নিজ উপজেলায় যোগদান করেন। সরকারী গাড়ীতে করে শুধুমাত্র বাড়ি থেকে অফিসে আসেন। যার দুরুত্ব ১৫ থেকে ২০ কিমিঃ। তবে উক্ত জালানী খরচ সরকার শুধুমাত্র অফিসের কাজের জন্য দেওয়া হয়। অথচ অফিসের কোন প্রাথমিক সমিতি কখনো পরিদর্শণ করেন না তিনি। গত বার্ষিক সাধারণ সভায় রেজুলেশনের মাধ্যমে জ্বালানী খরচ ২৭ হাজার টাকা দেখানো হয়েছিল।

সাধারন মিটিং পর রেজুলেশন বুক কাটাকাটি করে বিল ৪০, হাজার টাকা করা হয়েছে। পরে গোপনে গত ১২/০৬/২০১৭ইং তারিখে মাসিক সভায় রেজুলেশন ঠিক করেছেন। সমবায় সমিতির আইনে যে বিল গুলো বার্ষিক সাধারণ সভায় ও মাসিক সভায় পাশ করতে হয় তাহা উপস্থিত মাসিক মিটিং এ সকলের সামনে উপস্থাপন করতে হয়। একজন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হওয়া সত্তে¡ও সরকারী মালের টি.আর এর সভাপতি (পিআইসি) হন। নিয়ম-নীতিকে তোয়াক্ক না করে তিনি নিজ ক্ষমতায় সভাপতি হয়েছেন।

হরিণাকুন্ডেুর উপজেলা বিআরডিবি অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুকরা জানান, সাপ্তাহিক সমন্বয় সভায় প্রথম দিন পিও জহিরুদ্দীন মোঃ বাবর প্রাথমিক সমিতির ম্যানেজারদের সমস্ত প্রশিক্ষণ ক্লাশের টাকা মেরে দিতে প্রস্তাব দিয়েছিলেন । উপস্থিত ডিপিও ও এফও দের কেউ এ প্রস্তাবে রাজী হননি। ফলে ডিপিও ও এফও দের সাহেস্তা করার জন্য ডিপিও এর ফাইল ক্যাবিনেট থেকে লোন ফাইল চুরি করা হয়। সেটাও একবার নই দুইবার এবং ভবিষ্যতে আবার চুরি হওয়ার সম্ভবনা আছে। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি উর্দ্ধৃতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর প্রয়োজন মনে করেন নি পিও। মাঠ সংগঠকরা মনে করেন ফাইল চুরির ব্যাপারে পূর্ণ তদন্ত হওয়া একান্ত প্রয়োজন এবং উর্দ্ধৃতন কর্তৃপক্ষ ফাইল চুরির ব্যাপারে তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। তিনি তার পছন্দের ব্যক্তিদের টি.এ বিল দেন।

কিন্তু প্রাথমিক সমিতির ম্যানেজারদের প্রশিক্ষণের টাকা মারতে না দেবার কারণে এফও দের টি.এ বিল দেন না। আর উনার দুঃকর্মের সর্বপ্রকার সহযোগিতা করেন অফিসের অফিস সহকারী আবুল হাসান সবুজ। তারা আরো অভিযোগ করেন জহিরুদ্দীন মোঃ বাবর এর নিকট আত্মীয় মোঃ মাসুদুর রহমান (মাসুদ) এল.জি.আর.ডি মন্ত্রাণালয়ে চাকুরী করেন। এই আতœীয়র দাপটের কথা বলে বি.আর.ডি.বি অফিস স্ট্যাফদের হুমকী-ধামকি দেন। অফিসের কোন স্টাফ কোন ব্যাপারে একটু কথা বলতে গেলেই তাকে অপমান জনক কথা বার্তাও বলেন তিনি। দুর্নীতির অভিযোগের ব্যাপারে হরিণাকুন্ডু বিআরডিবির উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা (পিও) জহিরুদ্দীন মোঃ বাবরের সাথে কথা হলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন।

Tags

Related Articles

Close