ক্রিকেটক্রিকেটখেলাধূলাসর্বশেষ নিউজ
আমাকে পারতেই হবে: ইমন
ক্রীড়া প্রতিবেদক: অনুর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী টাইগার দলের অন্যতম সদস্য পারভেজ হোসেন ইমন। ১৭৮ রানের জয়ের টার্গেটে ওপেনিংয়ে নামেন তানজীদ হাসানের সাথে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের সময় আঘাত পেয়ে বাঁ পায়ে ক্র্যাম্পের জন্য মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। মাঠ ছাড়ায় আগে তাকে ব্যাথায় কাতরাতে দেখা যায়।
ওপেনিং জুটিতে বেশ ভালো শুরু এনে দিলেও একটা সময় ১৭৮ রানের লক্ষ্যটাই হয়ে উঠে পাহাড়সম। একের পর এক উইকেট যেতে থাকে আর জয়টাও সময়ের সাথে সাথে দূরে সরে যেতে থাকে। একটা সময় দলের ছয় উইকেট পড়ার পর পারভেজ হোসেন ইমন নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেননি। আবারো ব্যাট হাতে নেমে পড়েন তিনি। নেমেই আবারো স্কোর বোর্ডে রান জমা করতে থাকেন দলনায়ক আকবরের সাথে; যা কোটি কোটি দর্শকদের মনে আশার সঞ্চার ঘটায়। শেষ পর্যন্ত তিনি ৪৭ রানে আউট হলেও অনেকটা পথ এগিয়ে দেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর বৃষ্টি শুরু হলে অল্প সময়ের জন্য খেলা বন্ধ থাকে। আবার ম্যাচ শুরু হবার পর বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি বাংলার যুবাদের। তুলে নিয়েছেন ঐতিহাসিক বৈশিক কোন টুর্নামেন্ট সেরার মুকুট। বিজয়োল্লাসে যখন সবাই মাতোয়ারা তখনও তীব্র ব্যাথায় কাতরাচ্ছিলেন জয়ের অন্যতম সদস্য পারভেজ হোসেন ইমন। তিনি বলেন, ‘সবাই মাঠে ছুঁটে চলে গেল। আমি তখন যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছি। ড্রেসিং রুমে বসেছিলাম। সারারাত সবাই জয়ের উৎসব করেছে। পায়ের ক্র্যাম্পের জন্য আমি খুব বেশি কিছু করে উঠতে পারিনি।’
তীব্র ব্যথা নিয়ে খেলার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘এটাই আমার জীবনের সেরা ইনিংস। পঞ্চাশ করতে পারিনি। তবে তাতে কোনো আক্ষেপ নেই। দেশকে বিশ্বকাপ জেতানোর পিছনে আমারও যে অবদান রয়েছে, তা ভেবে খুব ভাল লাগছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে ইমন বলেন, ‘আমি যখন ১৫ রানে ব্যাট করছি, তখনই টের পাচ্ছিলাম যন্ত্রণা হচ্ছে। ২৫ রান করার পরে আর টানতে পারলাম না। মাঠেই শুয়ে পড়ি। ভাবলাম আধ ঘণ্টা যদি বিশ্রাম নিই, তা হলে হয়তো পরে ব্যাট করতে পারব। এ দিকে একের পর এক উইকেট যখন যাচ্ছে, তখন আর ডাগ আউটে বসে থাকতে পারলাম না। নেমেই পড়লাম ব্যাট হাতে।’
ইমন আরও বলেন, ‘পায়ে ক্র্যাম্প থাকায় ঠিক মতো শট খেলতে পারছিলাম না। দৌড়তেও ভীষণ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু মনকে বলছিলাম, আমাকে পারতেই হবে। এ রকম সুযোগ বার বার পাওয়া যাবে না।’