জেড.আই জহির: ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে নামেন উভয়পক্ষের মোট ২২ জন খেলোয়াড়। কিন্তু ব্যাটে ও বলে কিংবা উভয় বিভাগে যে সমানতালে লড়াইকরে কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে সেই হবে ম্যাচ সেরা। আজ বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দল বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের মধ্যকার যু্ব বিশ্বকাপের উদ্ভোধনী ম্যাচে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন নাজমুল হাসান শান্ত।
বুধবার যুব বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকা যুব দলের বিপক্ষে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে স্বাগতিক দলের অধিনায়ক মেহেদি মিরাজ। অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে মাঝাড়ি সূচনা করে স্বাগতিক ওপেনার সাইফ হাসান ও পিনাক ঘো্ষ। প্রথম জুটিতে ৩০রান যোগ করে তারা। দলীয় ৭৪ রানে স্বাগতিক দুই ওপেনার (সাইফ ৬ ও পিনাক ৪৩) বিদায় নিলে মাঠে নামেন ম্যাচের নায়ক নাজমুল হাসান শান্ত। মূলত বাংলাদেশের ইনিংসে থিতু হতেই মাঠে এসেছিলেন শান্ত।
প্রথমে জয়রাজ শেখকে নিয়ে তৃতীয় উইকেটে গড়েন ৩৩ রানের মাঝারি জুটি। চতুর্থ উইকেটে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের সাথে ৫৯ রানের কার্যকরী জুটি গড়ে তোলেন। যার পরণায় দলের স্কোরও দেড়শ পেরিয়ে যায়। কিন্তু মিরাজের (২৩) বিদায়ে ভেঙে যায় এ জুটি। মিরাজের বিদায়ের পর পঞ্চম উইকেটে জাকির হাসানের সঙ্গে ৪৫ রানের আরেকটি ভালো জুটি গড়েন শান্ত। জাকিরের (১৯) বিদায়ে ভাঙে এ জুটি।
কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রেখে স্বাগতিকদের রানের চাকা সচল রাখেন নাজমুল হাসান শান্ত। বাংলাদেশ ইনিংসের ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে ইনিংস সর্বোচ্চ ৭৩ রান আসে নাজমুল হাসান শান্তর ব্যাট থেকে। তার ৮২ বলের ম্যাচ সেরা ইনিংসে ছিল ৪টি চারের মার ও ৩টি বিশাল ছক্কার মার। বল হাতে না নামলেও ফিল্ডিংয়ে একটি ক্যাচ লুফে নিয়ে ম্যাচ সেরার শতকরা পূর্ণ করেছে নাজমুল হাসান শান্ত।
শেষ পর্যন্ত স্বাগতিক যুবারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রান করে। জবাবে সফরকারীরা ইনিংসের ৮ বল বাকি থাকতেই ১৯৭ রানে সবকয়টি উইকেট হারায়। ফলে ৪৩ রানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মিরাজ বাহিনী।