জাতীয়বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষ: ধারালো অস্ত্রসহ আটক ১১
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলে বিএনপি’র দু’গ্র“পের সংঘর্ষে সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি পণ্ড হয়ে গেছে। দুগ্র“পের পাল্টাপাল্টি হামলায় প্রেসক্লাব চত্বর রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় প্রি-ক্যাডেট স্কুলের ছাত্র ছাত্রী ও পথচারীদের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পরে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্র ভঙ্গ করে দেয় এবং ১২ রাউন্ড টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
এসময় টাঙ্গাইল রাইফেল ক্লাবের সামনে রাখা একটি (ঢাকা মেট্রা-গ ১৪-১০৮৫) নম্বরের একটি গাড়ী থেকে কয়েক ডজন ধারালো অস্ত্র, চাপাতী চাকু, রড, হাতুরী, পেথিডিন ইনজেকশন, ও সিরিঞ্জসহ ১১জন কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ । এতে পুলিশের দুই সদস্যসহ বিএনপির ৫ নেতা-কর্মী আহত হয়।
এ ঘটনায় ঢাকা থেকে আসা বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ সভা-সমাবেশে যোগ দিতে পারেনি। রবিবার সকাল ১১টার দিকে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে এই কর্মসূচি চলাকালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ এবং প্রত্যাক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপি’র সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কমসূচি আয়োজন করে। সকালে তাদের কর্মসূচি শুরু হয়। এদিকে বিএনপি’র বিদ্রোহী গ্র“প প্রেসক্লাবের সামনের রাস্তায় অবস্থান নিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। এক পর্যাযে উভয় গ্র“প পদবঞ্চিত বিদ্রোহ গ্র“পের নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের কমিউনিটি সেন্টারে ইট পাটকেল ছুড়ে হামলা চালায়। এতে করে দুই গ্র“পের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় প্রেসক্লাব ও আশ পাশের এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিনত হয়। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও পথচারী এবং যানবাহন চালকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ব্যাপক লাঠি চার্জ করে এবং টিআরশেল নিক্ষেপ করে।
বিদ্রোহী গ্র“প ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের ও কমিউনিটি সেন্টারের দরজা-জানালা ভাঙ্গচুরসহ ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করে। হামলার খবর পেয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানসহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সামাদ আজাদ ও শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ কেন্দ্রীয় নেতারা সমাবেশে যোগ দিতে পারেননি।
এ ব্যাপারে টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি নাজমুল হক ভুইয়া সাংবাদিকদের বলেন, সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হয়। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা বিএনপির সভাপতি শামসুল আলম তোফা বলেন, আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে পুলিশের সহযোগীতায় বিএনপির বিদ্রোহী একটি গ্র“পের নেতাকর্মীরা পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালায়। আমাদের কর্মসূচি পণ্ড করাই ছিল তাদের মূল উদ্যেশ্য।