জাতীয়পরিবেশবাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
আধুনিক হচ্ছে দেশের বিদ্যুত ব্যবস্থা; মাটির নিচ দিয়ে থাকবে সব ধরনের লাইন
নিউজরুমবিডি.কম: রাজধানীর বিদ্যুৎ সাব-স্টেশনসহ সব ধরনের লাইন মাটির নিচ দিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ‘ধানমণ্ডি এলাকার বিদ্যুৎ লাইন আমরা মাটির নিচে দিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজ শুরু করেছি। ধীরে ধীরে ডিপিডিসি (ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কম্পানি) ও ডেসকোর (ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কম্পানি) সব সাব-স্টেশন মাটির নিচে চলে যাবে। একই সঙ্গে সব বিদ্যুৎ লাইনও।’
গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে আলোচনাকালে নসরুল হামিদ এ কথা জানান। এ সময় তিনি আরো জানান, চলতি বছরেই রংপুর অঞ্চলে গ্যাসের পাইপলাইন স্থাপনের কাজ শুরু হবে। নির্বাচনের আগেই রংপুরে গ্যাস যাবে। আর ভোলায় নতুন গ্যাসকূপ পাওয়া গেছে। যার প্রেশার দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মহেশখালীতে সমুদ্রের তলদেশ থেকে দুটি পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী দুই বছরের মাথায় বাংলাদেশের সব তেল গভীর সমুদ্রের নিচ দিয়ে পাইপলাইনের মাধ্যমে আসবে। বর্তমানে একটি জাহাজ খালাস করতে প্রায় ১২ দিন সময় লাগে। তখন ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে একটি জাহাজ খালাস করা সম্ভব হবে। এতে প্রতিবছর সরকারের সাশ্রয় হবে ১০০ মিলিয়ন ডলার। আলোচনায় অংশ নিয়ে বিরোধী দলের সদস্য মো. ফখরুল ইমাম বলেন, ‘প্রতিমন্ত্রী অনেক আশার কথা শুনিয়েছেন। কিন্তু এখনো নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ আমরা পাই না। এখনো লোডশেডিং হয়, যদিও প্রতিমন্ত্রী স্বীকার করেন না।’ তিনি আরো বলেন, বিদ্যুতের কেন্দ্রগুলো কলঙ্কের প্রতীক হয়ে থাকবে। রামপাল, রূপপুর থেকে শুরু করে বিদ্যুতের যে বড় বড় প্রকল্প হচ্ছে, সেগুলো ৫-১০ বছর পর আর চলবে না।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ করে ফখরুল ইমাম বলেন, ‘ক্ষমতাসীনদেরও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, রাজনীতিতে ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। নদীতে জোয়ার-ভাটা হয়। তবে তা একসঙ্গে হয় না। রাজনীতির জোয়ার-ভাটার খেলায় কেউ এগিয়ে যাবে, কেউ পিছিয়ে পড়বে এটাই নিয়ম।’
ব্যাংক খাতে লুটপাট, অর্থ পাচারের ভয়াবহ তথ্য আছে দাবি করে মো. ফখরুল ইমাম বলেন, ব্যাংকিং খাতে চলছে নৈতিকতার সংকট। রাজনৈতিক কারণে ব্যাংক ঋণ দিয়ে যাচ্ছে। ঋণ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা খেলাপি হয়ে যাচ্ছেন। ব্যাংক এখন পরিবারতন্ত্রে পরিণত হয়েছে। ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যানের নাম উল্লেখ না করে এ সংসদ সদস্য বলেন, বিশেষ এক ব্যাংকের মালিক বিশেষ অঞ্চলের তিন হাজার লোক নিয়োগ দিয়েছেন। যে নিয়োগের ৯০ শতাংশই তাঁর নিজ এলাকার।