বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা: ভাঙচুর, সড়ক অবরোধ
নিউজরমবিডি.কম: গতকাল মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে টাঙ্গাইলের সখীপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আবদুর রাজ্জাক (২৮) নামের এক ব্যবসায়ীকে দিনেদুপুরে কুপিয়ে হতা করেছে সন্ত্রাসীরা। সখীপুর পৌরসভার ফোয়ারা চত্বরে ‘ফাহিম সুপার মার্কেটের’ দোতলায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার ঈদের কাপড় কেনা কাটার জন্য আবদুর রাজ্জাক `ফাহিম সুপার মার্কেটে’র দোতলায় ‘নাঈমফ্যাশন’ নামক একটি দোকানে এলে দোকানদার নাসিরের সঙ্গে দরদাম নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। কিছুক্ষণ পর নাসিরের ফুফাত ভাই ফাহিম সুপার মার্কেটের মালিক আশরাফ পাহাড়ির ছেলে রুবেল তার দলবল নিয়ে রাজ্জাককে ফ্যাশনপুরী গার্মেন্টেস এর সামনে পেয়ে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। রক্তাক্ত অবস্থায় রাজ্জাক মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ওই মার্কেটের ব্যবসায়ীরা তাকে দ্রুত স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি হলে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া পথে আবদুর রাজ্জাকের মৃত্যু হয়।
ব্যবসায়ীকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়লে মাইক্রোবাস শ্রমিক ও তার স্বজনেরা লাঠিসোটা নিয়ে খুনির দোকান ও বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে হামলাকারীরা সখীপুর-ঢাকা সড়ক দুই ঘন্টা অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে। মিছিলকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। ওই সময় সখীপুর বাজারের সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাতেই শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায় রাত সাড়ে আটটার দিকে নিহতের মা রাজিয়া বাদী হয়ে ফাহিম সুপার মার্কেটের মালিক আশরাফ পাহাড়ির ছেলে রুবেলকে প্রধান আসামি করে সখীপুর থানায় খুনের মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে সখীপুর থানার ওসি জানিয়েছেন।
সখীপুর মাইক্রোবাস শ্রমিক সমিতির সভাপতি মো.রাব্বানী জানান, আমরা আবদুর রাজ্জাক হত্যার খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।
সখীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারসেল ব্যবহার করা হয়েছে। ইতিমধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান চলছে।
পুলিশ খুনের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ‘নাঈম ফ্যাশনের’ দোকানদার নাসির উদ্দিনকে (৩৫) গ্রেপ্তার করে।
রাজ্জাক উপজেলার পাথারপুর গ্রামের প্রবাসী শামসুল হকের একমাত্র ছেলে। সে বর্তমানে সখীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়াডের্র খাদ্যগুদামের পাশে বসবাস করতেন ও মাইক্রোবাস-প্রাইভেটকার কেনাবেচার ব্যবসা করতেন।