বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঘুষ বানিজ্যের সাগরে ভাসছে ঝিনাইদহের বি.আর.টি.এ অফিস
জাহিদুর রহমান তারিক, ঝিনাইদহ প্রতিনিধিঃ ঝিনাইদহের বি.আর.টি.এ অফিস এখন ঘুষ বানিজ্যের অথৈই সাগরে পরিনত হয়েছে। আর সেই সাগরে প্রতিনিয়ত হাবুডুবু খেয়ে ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত, হয়রানি হয়েই চলেছেন সাধারন জনগন ও ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জের সিংগী গ্রামের সাধারণ ব্যাবসায়ী সুমন দত্ত। অদৃশ্য কারনে কতৃপক্ষ নীরব দেখার কেউ নেই।
সুমন দত্তের অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ থানার সিংগী গ্রামের সুশান্ত দত্তর ছেলে সুমন দত্তর ভগ্নিপতির জন্য একটি ডিসকভার ১০০ সিসির মটর সাইকেল ক্র্রয় করিলে উক্ত গাড়ির মালিকানা পরিবর্তন ও ডিজিটাল নম্বর প্লেট প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
পরবর্তিতে সুমন দত্তের সাথে ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের জনৈক আলী হোসেনের সাথে ঝিনাইদহের বি.আর.টি.এ অফিসের সিড়িতে উঠার সময় দেখা হলে আলী হোসেন বলেন আমি বি.আর.টি.এ অফিসে চাকরি করি।
সেই সুত্রে, আপনি আমার নিকটে ৮০০০/- (আট হাজার টাকা) দিলে,বি.আর.টি.এ অফিসের সহকারি পরিচালক আহসান আলী মিলনকে অতিরিক্ত অফিস খরচ বাবদ ৩০০০/-(তিন হাজার টাকা) দিলে দুই মাসের মধ্যেই আপনার সমুদয় কাগজ পত্র করিয়া দিব।
অন্যথায় আপনি সরাসরি সহকারী পরিচালক আহসান আলী মিলন স্যারের কাছে গেলে সে, সরাসরি আপনার কাছে অফিস খরচ চাইতে পারবেনা। ফলে নানান অযুহাতে ও কাগজ পত্রের ত্রæটি দেখিয়ে আপনার ফাইল মাসের পর মাস ঘুরাতেই থাকবে।
আলী হোসেন আরো বলেন, এখানকার বি.আর.টি.এ অফিসের ষ্ট্যাফদের মাধ্যমে প্রতি ফাইল জমা নেয়ার সময় এক,দুই,তিন হাজার টাকা অফিস খরচ বাবদ গ্রাহকদের নিকট থেকে নেন।
আলী হোসেনের সমস্ত কথার্বাতা সোনা বোঝার পরেও সুমন দত্তের পরোপুরি বিশ্বাস না হলে, আলী হোসেন সুমন দত্তকে বি.আর.টি.এ অফিসের নিচে ঝিনাইদহ জেলা আইনজীবী সহকারী সমিতির সদস্য (সদস্য নম্বর-২৬৮) মোঃ বেল্লাল হোসেনের নিকটে নিয়ে যান আলী হোসেনের উপর আস্থা আনার জন্য।
এসময় আমাকে দোকানে চা খেতে বলে এই আলী হোসেন ও বেল্লাল হোসেন একটু দুরে গিয়ে আলাপ আলোচনা শেষে বেল্লাল হোসেন আমাকে বলে যে,বি.আর.টি.এর সহকারী পরিচালক আহসান আলী মিলন স্যার আলী হোসেনের মাধ্যমে অফিস খরচের টাকা ও ফাইল জমা নেয়।
আপনি টাকা এবং ফাইল আলী হোসেনের কাছে জমা দেন। দুই মাসের মধ্যেই আপনার কাজ কম্প্লিট হয়ে যাবে। কাজ না হলে-আমি জামিন থাকলাম, আপনি আমার কাছ থেকে টাকা নিয়ে যাবেন।
পরে সুমন দত্ত আলী হেসেন ও বেল্লালের কথায় রাজি হইয়া সাক্ষী ১) মিন্টু চক্রবর্তী ২) বিপুল নন্দী উভয় সাং কালীগঞ্জদ্বয়ের সম্মুখে আলী হোসেনের নিকট গাড়ির কাগজ পত্র ও ৮০০০/-(আট হাজার টাকা) প্রদান করে। কিন্তুু আলী হোসেন কাগজ পত্র ও টাকা নিয়ে আজ প্রায় ১৪ মাস গাড়ির কাগজ পত্র তৈরী করিয়া দেন নাই।
সুমন দত্ত-আলী হেসেন ও বেল্লালের নিকট বি.আর.টি.এ অফিসে নিচে এসে গাড়ি কাগজ পত্রের কথা জানতে চাইলে তারা দুজনে বিভিন্ন তালবাহানা করিয়া ঘুরাইতে থাকে।
অবশেষে গত ১৮.০৯.২০১৬ তারিখে আলী হেসেন ও বেল্লালের সাথে যোগাযোগ করিলে তারা দুজনে বলে কোন কাগজ পত্র করে দিতে পারবোনা।
আলী হেসেন ও বেল্লাল আরো বলেন, আপনার দেওয়া টাকা ও কাগজ পত্র বি.আর.টি.এর সহকারী পরিচালক,ঝিনাইদহ সার্কেল আহসান আলী মিলন স্যারের কাছে জমা আছে। পারলে তার নিকট থেকে আদায় করে নিবেন।
সুমন দত্ত তার ১৪ মাস পূর্বের জমা দেওয়া টাকা ফেরৎ চাইলে আলী হেসেন ও বেল্লাল টাকা দিতে অস্বিকার করে।
এব্যাপারে ঝিনাইদহ বি.আর.টি.এর সহকারী পরিচালক,ঝিনাইদহ সার্কেল, আহসান আলী মিলন এ প্রতিবেদককে বলেন,আমি আলী হোসেন ও বেল্লালকে চিনি কিন্তুু তারা আমার কাছে কোন কাগজ পত্র ও টাকা জমা দেয় নাই।