বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঝিনাইদহের সুরাট ইউপির তফসীল বাতিলে একক প্রার্থীরা ব্যাপক হতাশ
ষ্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ: ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সুরাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের তফসীল বাতিলে একক প্রার্থীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্ত তারা কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তারা আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
একক প্রার্থীরা জানান, ১১ এপ্রিল মনোনয়নপত্র বাছাই শেষে জানা যায় সুরাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে শুধুমাত্র আওয়ামী লীগের জে. এম রশীদুল আলম মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।
এছাড়া, সাধারণ সদস্য পদে ৬ নম্বরে মোঃ ছবেদ আলী জোয়ারদার, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে মকবুল হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান একক প্রার্থী রয়েছেন। এছাড়া, অন্য কোন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তাই একক প্রার্থী হিসেবে তারাই নির্বাচিত। ফলে এসকল প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে চলছিল আনন্দ উল্লাস আর মিষ্টি বিতরণ।
কিন্তু নির্বাচন কমিশনের এক চিঠিতে সব আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছে। ১৩ এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের উপ-সচিব মো. সামসুল আলম জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে সুরাট ইউনিয়নের তফসীল বাতিল করার ব্যবস্থা নিতে বলেছেন। এতে ওই ইউনিয়নের নির্বাচন সংক্রান্ত সকল কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে। পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
ঝিনাইদহ জেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে, চতুর্থ ধাপে সদর উপজেলার ১৭টির মধ্যে ৯টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তফসিল অনুযায়ী ৭ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা, ১১ এপ্রিল বাছাই, ১৮ এপ্রিল প্রত্যাহার, ১৯ এপ্রিল প্রতিক বরাদ্ধ ও ৭ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলার সুরাট ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে একজন, আর ৯টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে ২০ জন, ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে আটজন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে ৬ নম্বরে ছবেদ আলী জোয়ারদার, ৭ নম্বরে মকবুল হোসেন ও ৮ নম্বর ওয়ার্ডে মিজানুর রহমান একক প্রার্থী ছিলেন।
মনোনয়ন জমা দেওয়া একাধিক প্রার্থী জানান, মনোনয়ন বাছাই শেষে তাঁরা নির্বাচিত ধরে নিয়ে এলাকায় আনন্দ-উল্লাস করেছেন। সমর্থকেরা মিষ্টি বিতরণ করেছেন। নিজেরাও বাড়ি বাড়ি শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। এখন তাঁরা শুনতে পাচ্ছেন, তফসীল বাতিল করা হয়েছে। এটা খুবই দুঃখজনক। তাঁরা এটা মানেন না, তাঁরা এর প্রতিবাদ করবেন। প্রয়োজনে আদালতে যাবেন।
৭ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য প্রার্থী মকবুল হোসেন জানান, নির্বাচন কমিশনের ওই চিঠির পর তফসীল বাতিলের খবর পেয়ে তাঁরা হতাশ। নির্বাচনে অংশ নিতে তাঁদের অনেক কাগজপত্র জমা দিতে হয়েছে। জামানতসহ কাগজপত্র জোগাড় করতে তাঁদের অনেক খরচ করতে হয়েছে।
চেয়ারম্যান প্রার্থী জে এম রশীদুল আলম বলেন,
এলাকার মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। সে কারণে অন্য কেউ মনোনয়নপত্র জমা দেননি। তিনি একক প্রার্থী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত ধরে নিয়ে কর্মী সমর্থকেরা আনন্দ-উল্লাস করেছে। এখন নির্বাচন কমিশন এভাবে সবার আনন্দ কেড়ে নিতে পারেন না। তাছাড়া কোন কারণে তফসীল বাতিল করা হলো, তার কোনো ব্যাখ্যা মিলছে না। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তাঁরা আদালতে যাওয়ার কথা ভাবছেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকায় এই তফসীল বাতিল করা হয়েছে। এখানে পুনরায় তফসীল ঘোষণা করে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি আরও জানান, বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে করা হয়েছে।