বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঝিনাইদহে “জঙ্গী” আস্তানার কথা স্বীকার মেস মালিকের
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদাতাঃ ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ায় আলোচিত মেসে কথিত জঙ্গী নিবরাস ও আবির রহমান ছিলেন। নিবরাস নিজেকে সাঈদ ও আবির তার খালাতো ভাই শাওন পরিচয় দিয়ে থাকতেন। ঝিনাইদহ র্যাবের হাতে আটক সোনালীপাড়ার সাবেক সেনা সদস্য ও মেসের মালিক কাউছার আলী এবং স্থানীয় মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মেসে পরিচয় গোপন করে দুই জঙ্গী থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
তাদের স্বীকারোক্তির মধ্য দিয়ে ঝিনাইদহে জঙ্গী আস্তানা থাকার বিষয়টি প্রমানিত হলো। যদিও ঝিনাইদহের পুলিশ জঙ্গী আস্তানার বিষয়টি বরাবর অস্বীকার করে আসছিলো।
এদিকে নিখোঁজের ২০ দিন পর ঝিনাইদহ র্যাব কাউছার ও রোকনকে আটকের দাবী নিয়ে তাদের পরিবারে সন্দেহের সৃষ্টি হয়েছে।
আবার ঝিনাইদহ র্যাব ক্যাম্পে সাংবাদিক সম্মেলন করে ঝিনাইদহ র্যাব-৬ ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার মেজর মনির আহম্মেদ জানান, ঝিনাইদহ শহরের পাগলাকানাই এলাকায় ঘোরাঘুরি করার সময় মেস মালিক কাউছার ও স্থানীয় মসজিদের ইমাম রোকনকে আটক করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, র্যাব কাউছার আলী ও রোকনুজ্জামান নামে দুই ব্যক্তিকে থানায় দিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে কি অভিযাগ, কেন আটক করেছে এ ব্যাপারে আমরা কিছুই জানি না।
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গেছে, জঙ্গী নিবরাস ইসলাম ও আবিরকে সহায়তার দায়ে গত ৬ জুলাই ঝিনাইদহের সোনালীপাড়া থেকে ৫ জনকে আটক করে নিয়ে যায় ঢাকা থেকে আগত আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
আটকৃতরা হলেন, ঝিনাইদহ শহরের সোনালী পাড়ার ঠান্ডু মোল্লার ছেলে মেস মালিক কাওছার আলী মোলা, তার দুই ছেলে ঝিনাইদহ কলেজের ছাত্র বিনছার আলী, নারিকেলবাড়িয়া কলেজের ছাত্র বেনজির আলী, হামদহ সোনলীপাড়া মসজিদের ইমাম যশোরের ঝিকরগাছার নায়রা গ্রামের রোকনুজ্জামান ও ছারশিনা মাদ্রাসার ছাত্র আদর্শপাড়া কচাতলা মাদ্রাসা শিক্ষক আবুল কালাম আজাদের কিশোর ছেলে হাফেজ আব্দুর রব।
কাওছার আলীর স্ত্রী বিসকিস নাহার অভিযোগ করেন ৬ জুলাই তার স্বামী কাওছার আলী, দুই ছেলে বিনছার আলী ও বেনজির আলীসহ ৫ জনকে আটক করে নিয়ে যায়।
তবে ঝিনাইদহ র্যাব ও পুলিশের পক্ষ থেকে বরাবরই এই ৫ জনের আটকের খবর অস্বীকার করে আসছে। এদিকে সাবেক সেনা সদস্য কাউছার আলীর ছেলে বিনছার আলী ও বেনজির বাড়ি ফিরে এসেছে বলে বুধবার শোনা গেছে। তবে সোনালীপাড়ার বাড়ি গিয়ে তাদের পাওয়া যায় নি। পরিবারের এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, মুচলেকা দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।