বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাল্য বিয়ের অভিযোগে বর-কনের কারাদন্ড: কাজী অফিসে তালা
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বাল্য বিয়ের অভিযোগে বর ও কনেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একইসঙ্গে বিয়ে রেজিস্ট্রির অভিযোগে নিকাহ রেজিস্ট্রি (কাজী অফিস) কার্যালয়ে তালা ঝুলিযে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শুক্রবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম এস্ এম রফিকুল ইসলাম এ ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এতে উপজেলা নলুয়া গ্রামের মোনায়েম খানের ছেলে বর শাকিব খানকে (১৮) এক বছর ও কনে একই গ্রামের খন্দকার লেবু মিয়ার মেয়ে হেনা আক্তার লিজাকে (১৩) ১৫ দিনের কারাদন্ড প্রদান করেন।
জানা যায়, নলুয়া বাছেত খান উচ্চ বিদ্যালয়ের চলতি জেএসসি পরীক্ষার্থী হেনা আক্তার লিজা বৃহস্পতিবার পরীক্ষা শেষে বাড়ি ফেরার পথে নলুয়া গ্রামের মোনায়েম খানের বখাটে ছেলে শাকিব খান তার সহযোগীদের নিয়ে অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে। শুক্রবার বিকেলে ঐ ছাত্রীর মা লাভলী আক্তার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করলে নির্বাহী কর্মকর্তা পুলিশ নিয়ে নলুয়া এলাকার বখাটে শাকিব খানের চাচা আইয়ুব খানের বাড়ি থেকে বর-কনেকে আটক করেন। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে বরকে এক বছর এবং কনেকে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন। বাল্য বিবাহ রেজিস্ট্রি করার অভিযোগে যাদবপুর ইউনিয়নের নিকাহ রেজিস্টার কাজী কেএম হেলাল উদ্দিনকে গ্রেফতার করতে তার বাড়িতে অভিযান চালানো হয়। তাকে না পেয়ে তার নলুয়া বাজারের নিকাহ রেজিস্ট্রার অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেন। মেয়ের মা লাভলী আক্তার বলেন, ‘আমার নাবালক মেয়েকে জোর পূর্বক তুলে নিয়ে বখাটে শাকিব খান বিয়ে করে অজ্ঞাত স্থানে আটকে রাখে। পরে আমি মেয়েকে উদ্ধারে ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করি। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকিম এসএম রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে বাল্য বিয়ের অভিযোগে বর-কনেকে সাজা ও নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে তালা দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে নিকাহ রেজিস্ট্রার কাজী কেএম হেলাল উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, ঐ বিয়ে রেজিস্ট্রি তিনি করেননি। তবে তার নিকাহ রেজিস্ট্রি কার্যালয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের তালা দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন।