জাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

সখীপুরে মুক্তিযুদ্ধার কন্যাকে নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন

সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুমি আক্তারের ওপর যৌতুকের দাবিতে স্বামী কর্তৃক নির্যাতনের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে । গতকাল সকাল ১১ টায় সখীপুর পৌরসভার মোখতার ফোয়ারা চত্ত্বরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সাবেক কমান্ড এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন । মানববন্ধনে বীরমুক্তিযোদ্ধার সন্তান রুমি আক্তারের ওপর যৌতুকের দাবিতে স্বামী স্কুল শিক্ষক মিজানুর রহমানের দৃষ্টান্তমুলক বিচারের দাবি জানিয়ে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার পৌর মেয়র বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু  হানিফ আজাদ, সখীপুর উপজেলা অাওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ইদ্রিস অালী সিকদার, সাবেক কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ অালহাজ্ব এম ও গণি, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ শফিকুর রহমান বিএসসি, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার  সাইদুর রহমান, বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবদুল্লাহ মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শফিউল ইসলাম (কাজী বাদল), উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড কাউন্সিলের সধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান আজাদ। ঘন্টাব্যাপী এ মানববন্ধনে প্রায় পাঁচ শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা অংশ গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য ২০১৩ সালের ১৫ নভেম্বর মিজানুর রহমানের সঙ্গে সখীপুর উপজেলার দাড়িয়াপুর গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল মান্নানের মেয়ে রুমির বিয়ে হয়। বিয়ের সময় রুমি আক্তারের বাবা মেয়েকে চার ভরি স্বর্ণালংকার দেন। বিয়ের পরের বছর মিজানুর একটি মোটরসাইকেল দাবি করেন। শ্বশুর জামাতাকে দেড় লাখ টাকার একটি মোটরসাইকেলও কিনে দেন। ২০১৭ সালে রুমির গর্ভে সন্তান আসে। আলট্রাসনোগ্রাম রিপোর্টে ‘কন্যা সন্তান’ জন্ম নেওয়ার খবরে তিনি অখুশি হন। তাই এক্ষেত্রেও ছেলে না হয়ে মেয়ে হওয়ার কারণে অস্ত্রোপচারের সব খরচ শ্বশুরের কাছে দাবি করেন ওই জামাতা। মেয়ের সুখের কথা ভেবে অস্ত্রোপচারের বিশ হাজার টাকাও পরিশোধ করেন রুমির বাবা। গত দুই বছর আগে চাকরিতে সমস্যার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে আরও পঞ্চাশ হাজার টাকা আদায় করেন ওই শিক্ষক মিজানুর। রুমির দাবি গত চারমাস ধরে সে আরও দুই লাখ টাকা দাবি করে নির্যাতন করছেন। কয়েক মাস ধরে বাপের বাড়ি দিন কাটাচ্ছেন। মঙ্গলবার সকালে রুমি স্বামীর বাসায় গেলে তাঁকে মারধর করে। পরে রুমি সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। রুমি আক্তার বাদী হয়ে স্বামীকে একমাত্র আসামি করে যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের অভিযোগে সখীপুর থানায় মামলা দায়ের করলে সখীপুর থানা পুলিশ মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

Related Articles

Close