ক্যাম্পাসবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আসলেই কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’

‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আসলেই কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের’শফিকুল ইসলাম, রাবি প্রতিনিধি : বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যে দাবিতে আন্দোলন করেছিল তা চালু রেখেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছে অন্যদিকে এই সময়ে বাসের ট্রিপ কমানোর মত কাজ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্কটকে উসকে দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু কেন দিচ্ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। তাই আমাদের প্রশ্ন করতেই হয়-বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আসলেই কি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের নাকি অন্য কোনো পক্ষের। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের প্রশাসন হয়ে কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারে? কর্তৃপক্ষ এর উত্তর দেবে আশা করছি।

সান্ধ্যকালীন মাস্টার্স কোর্স ও বর্ধিত ফি বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) মশাল মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্রজোট রাবি শাখা। মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এমনই প্রশ্ন তুলে কথা বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি কিংশুক কিঞ্জল।

সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তারা এ কর্মসূচি পালন করেন। মশাল মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের পিছন (আম চত্বর) থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় সেখানে মিলিত হয়।

এ সময় কিঞ্জল আরো বলেন, শিক্ষার অধিকার আদায়ের জন্য আন্দোলন করে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন হত্যাচেষ্টা, বিষ্ফোরক মামলা করে। তারা নাকি পুলিশকে হত্যার চেষ্টা করেছিল! পুলিশ সেই আন্দোলনকারীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের হয়রানি করে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে আজকেও দেখা করতে গিয়েছিলাম। উপাচার্য স্যারের সময় মিলেনি তাই দেখা হয়নি। কিন্তু কাল উনি আমাদের যে সময় দেখা করতে বলেছেন, মামলার হাজিরা থাকায় তা সম্ভব হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্র্রীয় ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি গোলাম মোস্তফা, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন মোড়ল, ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি লিটন দাস, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা বিপ্লবী ছাত্রমৈত্রীর সভাপতি প্রদীপ মার্ডি, কেন্দ্রীয় ছাত্রমৈত্রীর যুগ্ম আহ্বায়ক ইকবাল কবীর, প্রগতিশীল ছাত্রজোটের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক শাকিল আহমেদসহ প্রগতিশীল ছাত্র জোটের প্রায় সকল নেতাকর্মী।

Tags

Related Articles

Close