বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

মির্জাপুরে গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা: স্বামী ও শ্বাশুড়ি আটক

mrzটাঙ্গাইল প্রতিনিধি, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দিবাগত রাতে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের স্বামী মো. সেলিম রেজা ও শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগমকে আটক করেছে।

নিহতের নাম সহিদা বেগম ফারজানা (২৫)। তিনি একই উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের শুভূল্যা গ্রামের ব্যবসায়ী ফারুক মিয়ার মেয়ে।

নিহতের বাবা মো. ফারুক মিয়া জানান, ২ বৎসর আগে একই উপজেলার আজগানা ইউনিয়নের বেলতৈল গ্রামের আব্দুল খালেক মিয়ার বড় ছেলে সেলিম রেজার সাথে তার মেয়ের বিয়ে দেন। বিয়ের পর থেকে দাম্পত্য জীবনে প্রায়ই তাদের মধ্যে ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো। সম্প্রতি তার মেয়ের জামাই সংসার জীবনে বাবা-মা ও ভাইয়ের সাথে পৃথক হয়। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে তিনি ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা খরচ করে মেয়ের স্বামীর বাড়ির পাশে হাটুভাঙ্গা বাজারে একটি দোকান দিয়ে দেন। তারপরও তার মেয়ের সাথে স্বামী, শ্বাশুড়ি, দেবর ও দেবরের স্ত্রী ঝগড়া বিবাদ অব্যাহত রাখে। গত এক সপ্তাহ আগেও তিনি মেয়ের স্বামীকে আরও ১ লাখ ১০ হাজার টাকা দিয়ে দোকানে মাল কিনে দিয়েছেন বলে তিনি জানান। সোমবার সকাল থেকে শ্বাশুড়ি তার মেয়ের সাথে ঝগড়া করেন বলে মেয়ে মুঠোফোনে মাকে জানিয়েছিলেন ফারজানা। রাতে তার মেয়েকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যার পর ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত ফারজানার শ্বাশুড়ি মনোয়ারা বেগম বলেন, তাদের মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়েছে। কথাকাটাকাটির এক পর্যায় ফারজানা তাকে গলায় ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়। পরে তিনিও পুত্রবধু ফারজানাকেও ধাক্কা মারেন। সন্ধার পর ফারজানা বসত ঘর সংলগ্ন টয়লেটের রোয়ার সাথে ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আতœহত্যা করেন। পরে তারা ওড়না কেটে তার লাশ নামান বলে তিনি উলে­খ করেন।

মির্জাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আলমগীর হোসেন জানান, আত্মহত্যার বিষয়টি জানতে পেরে রাতেই ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ থানায় নিয়ে আসা হয়। ফারজানার বাবার পরিবার থেকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ করায় নিহতের স্বামী ও শ্বাশুড়িকে আটক করা হয়েছে। তাছাড়া নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এটি হত্যা না আত্মহত্যা অভিযোগ ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে। পরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া ফারজানার লাশ ফাঁসিতে ঝুলানো অবস্থায় পাননি বলে তিনি উলে­খ করেন।

Related Articles

Close