ক্রিকেটক্রিকেটখেলাধূলাসর্বশেষ নিউজ
রেকর্ড গড়ে গর্বিত আলিম দার
রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তান-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার দ্বিতীয় ওয়ানডে পরিচালনা করতে নামার মধ্য দিয়ে অনন্য রেকর্ড গড়েছেন আলিম দার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের এই আম্পায়ার রবিবার ২১০টি ম্যাচের দায়িত্ব নিয়ে সবচেয়ে বেশি ওয়ানডে ম্যাচ পরিচালনার রেকর্ডে নিজের নাম লেখিয়েছেন। এ যাত্রায় পেছনে ফেলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকান রুডি কোয়ের্টজেনকে।
এর আগে সর্বোচ্চ ২০৯টি ওয়ানডে ম্যাচে আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে এই রেকর্ড গড়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আম্পায়ার রুডি কোয়ের্টজেন। ২০১০ সালে অবসরে যান রুডি। অবসর নেওয়ার ১০ বছর পর তাঁর রেকর্ড ভেঙে দিলেন আলিম দার।
গত বছর টেস্টে সবচেয়ে বেশি আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ডটিও নিজের নামে গড়েছেন আলিম দার। ডিসেম্বরে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের পার্থ টেস্টে নেমে জ্যামাইকান স্টিভ বাকনারকে টপকে যান তিনি, ওই ম্যাচ ছিল তার ক্যারিয়ারের ১৩২তম।
শুধু তাই নয়, ১৬ বছর ধরে আইসিসি’র এলিট প্যানেলের আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করা আলিম দার সবচেয়ে বেশি ৩৮৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ডও গড়েছেন। এখন পর্যন্ত ৪৫টি টি-টোয়েন্টি পরিচালনা করেছেন, স্বদেশী আম্পায়ার আহসান রাজার চেয়ে এক ম্যাচ পিছিয়ে।
ওয়ানডের রেকর্ড ভাঙার পর আইসিসির এক বিবৃতিতে ৫২ বছর বয়সী এই আম্পায়ার বলেছেন, ‘টেস্ট ও ওয়ানডেতে আম্পায়ারিংয়ের রেকর্ড গড়া অনেক গর্বের ব্যাপার। যখন শুরু করেছিলাম, তখন কল্পনা করিনি এতদূর আসতে পারবো। আমি শুধু বলতে চাই মাঠে প্রত্যেক মুহূর্ত উপভোগ করেছি এবং সবসময় শেখার চেষ্টা করে গেছি।’
আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকে ধন্যবাদ জানিয়ে আলিম দার বলেছেন, ‘আমাকে সমর্থন করায় ও সব ধরনের সুযোগ সুবিধা দেওয়ায় আমি আইসিসি ও পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের প্রতি কৃতজ্ঞ। আমার সহকর্মী ম্যাচ অফিসিয়ালদেরও ধন্যবাদ জানাই তাদের সহায়তা ও সমর্থনের জন্য।’
নিজের পরিবারকে ধন্যবাদ দিয়ে আলিম দার বলেন, ‘এতোগুলো বছর আমার পরিবার আমাকে সমর্থন দিয়ে গেছে। সেজন্য তাদের ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি আইসিসির কাছে কৃতজ্ঞ। কৃতজ্ঞ পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কাছেও। এই দুটি প্রতিষ্ঠান আামাকে এতো বছর ধরে সমর্থন ও সুযোগ দিয়ে এসেছে।’
আম্পায়ারিং ক্যারিয়ারের আগে এক দশকেরও বেশি সময় অলরাউন্ডার হিসেবে পাকিস্তানের হয়ে কেবল প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন আলিম দার। ২০০০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুরজানওয়ালায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে শুরু হয় আম্পারিংয়ের নতুন অধ্যায়। গেল ২০ বছরে ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে ৩৮৭টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। তার মধ্যে ওয়ানডেতে ২০৯টি, টেস্টে ১৩২টি ও টি-টোয়েন্টিতে ৪৫টি।