বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

সখিপুরে ধর্ষণের সাজানো ঘটনায় ব্যবসায়ীকে নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ: প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

tan 2বিশেষ প্রতিনিধি, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইলের সখিপুরে প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগে ছানোয়ার হোসেন নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র করে, মাথার চুল কেটে ও ভ্রু উঠিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদে ফুসেঁ উঠেছে এলাকাবাসী। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে তার স্বজন-এলাকাবাসী মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে।

রোববার সকাল ১০ টায় উপজেলার নলুয়া বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এ কর্মসূচিতে এলাকার শতশত লোক অংশ নেন। মানববন্ধন শেষে সখিপুর প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে নির্যাতনের শিকার ছানোয়ার হোসেনের ছেলে রুবেল নির্যাতনের ভিডিও চিত্র দেখান এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় যাদবপুর ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খলিলুর রহমান খোকা, সাবেক ইউপি সদস্য হযরত আলী, নুরুল ইসলাম নয়নসহ প্রায় অর্ধ শতাধিক এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে রুবেল বলেন, গত ২০ আগস্ট সকাল ৯টায় উপজেলার বোয়ালী গ্রামের মুনছুর আলী ও আবুল হাশেম ওরফে হাসমত নামের দুই দুস্কৃতিকারী আমার পিতাকে পূর্বশত্রুতার জের ধরে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ আটক করেন। পরে ঐ দুই দুস্কৃতিকারী তাদের সহযোগী শোলাপ্রতিমা গ্রামের তোমেজ উদ্দিন (৫৫), বোয়ালী গ্রামের ইসমাইল (৫২), আজাহার আলী (৩৫), চাঁন মিয়া (৪২), আবদুল মান্নান (৪৮) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত রশি দিয়ে গাছে বেঁধে দফায় দফায় মারপিট ও অমানুষিক নির্যাতন করে। তারা আমার পিতার মাথার চুল ও চোখের ভ্রু কেটে জুতার মালা পড়িয়ে গ্রামবাসীর সামনে রাস্তায় ঘুরান। মারপিট ও নির্যাতনের ভিডিও চিত্র ধারণ করে পরে তারা ইন্টারনেটে ছেড়ে দেয়। পরে ঐ দিন বিকেলে আমার পিতাকে গুরুতর আহত অবস্থায় পুলিশে দেওয়া হয়। ঐ প্রতিবন্ধীর মাকে দিয়ে সখিপুর থানায় ধর্ষণের মামলা করানো হয়। পুলিশ ঐ মামলায় তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠায়।

তিনি আরো জানান, ডাক্তারি পরীক্ষায় ঐ প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণের কোন আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ধর্ষণের সাজানো ঘটনায় তার বাবার ওপর চালানো নির্যাতনকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

অভিযুক্ত মুনছুর আলী ও আবুল হাশেম বলেন, প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের সময় ছানোয়ারকে আমরা হাতেনাতে ধরে পুলিশে দেই। মারপিটের ঘটনার সাথে আমরা জড়িত নই।

এ ব্যাপারে সখিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, আসামীর জবানবন্দি, পুলিশি তদন্ত ও ঘটনার পারিপাশ্বিকতায় প্রতিবন্ধী মেয়েটিকে ধর্ষণের সত্যতা পাোয়া যায়। কিন্তু ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদনে ধর্ষণের আলামত পাওয়া না গেলেও ঐ আসামির বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগপত্র দাখিল করা হবে।

Related Articles

Close