জাতীয়পরিবেশবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
সখীপুরে পোলট্রি খামার ভাংচুর, তিনঘন্টা পর অবরোদ্ধ বিট কর্মকর্তা উদ্ধার, আহত ৫
সিরাজুস সালেকীন সিফাত, সখীপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি: সখীপুরে বনের জমিতে পোলট্রি খামার নির্মাণের অভিযোগ এনে ওই জমিতে নির্মাণাধীন ঘরটি ভেঙে ফেলা হয়েছে। খামারের জন্য নির্মিত ঘরটি ভাঙার সময় ওই জমিতে বসবাসকারী বাড়ির মালিকপক্ষ ও বন বিভাগের লোকজনের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি ও এক পর্যায়ে সংঘষের্র ঘটনা ঘটে। এ সময় বাড়ির মালিকসহ ওই পরিবারের পাঁচজন গুরুতর আহত হন। আহতদের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে মোজাম্মেল হকের বাড়িতে বন বিভাগের লোকজনের হামলায় ওই পরিবারের সবাই আহত হওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ হয়ে কালিদাস বিট কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামসহ বনবিভাগের চারজনকে আটক করে। পরে সকাল নয়টার দিকে সখীপুর থানা পুলিশ তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসে। বৃহস্পতিবার ভোর ছয়টার দিকে টাঙ্গাইল বনবিভাগের সখীপুর উপজেলার কালিদাস বিটের ইছাদিঘী আতিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
বন বিভাগের হামলায় আহতরা হলেন মোজাম্মেল হক (৩২), দুলাল হোসেন (৪৫), বিল্লাল হোসেন (৩৭), মমতাজ বেগম (৫৫) ও সাজেদা আক্তার (৩৫)। এদের সবার বাড়ি উপজেলার ইছাদিঘী আতিয়াপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় কোনো পক্ষই থানায় মামলা করেননি। তবে উভয়পক্ষই জানান, তারা প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
আহত মোজাম্মেল হক জানান, এ জমি আমাদের পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত। শত বছরের দখলীয় জমি। জমিতে ঘর দিতে গেলেই বন কর্মকর্তারা টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় তারা বৃহস্পতিবার ভোরে বাড়িতে হামলা চালায়।
বন বিভাগের হাতিয়া রেঞ্জের কালিদাস বিট কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, গজারিয়া-কীর্ত্তনখোলা মৌজার ২১৮৮ নং দাগের ওই জমিটি বন বিভাগের। বাধা উপেক্ষা করে পোলট্রি খামারের জন্য ঘর নির্মাণ করলে ওই ঘরটি বৃহস্পতিবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। উচ্ছেদের পর অফিসে ফেরার পথে এলাকাবাসী আমাদের আক্রমণ করে আটক (অবরোদ্ধ) করে রাখে।
সখীপুর থানার ওসি মো. মাকছুদুল আলম বলেন, গতকাল সকাল নয়টার দিকে আটকৃতদের উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এখনও (রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত) কোনো পক্ষই থানায় লিখিত দেয়নি।