বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলের নাগরপুরে প্রচারনায় ব্যস্ত সদস্য প্রার্থীরা
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে: আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনার পরপরই টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করেছে। যদিও এ উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে সম্ভাব্য কোন প্রার্থী নেই। তবে জেলা পরিষদের সদস্য ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন দলের সম্ভাব্য প্রায় ১ ডজন প্রার্থীরা প্রচারনায় ব্যস্ত রয়েছেন।
ইতোমধ্যেই দলীয় মনোনয়ন পেতে জোর লবিংয়ের পাশাপাশি চোষে বেড়াচ্ছেন পাড়া মহল্লা। নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন উঠান বৈঠক। প্রার্থীরা ভোটারদের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ধর্না দিচ্ছেন। নানা উন্নয়নের প্রতিশ্রæতি দিয়ে করছেন ভোট প্রার্থনা। সূত্রে জানা যায়, গত ২০ নভেম্বর টাঙ্গাইল জেলা পরিষদ নির্বাচনের তফশিল ঘোষনা করা হয়। তফশিল ঘোষনার পর থেকেই এ উপজেলার প্রার্থীরা আদা জল খেয়ে রাতের ঘুম হারাম করে নির্বাচনী মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ উপজেলায় ১০ টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১৩৩। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১০২ ও মহিলা ৩১ জন। এই প্রথম জেলা পরিষদের সদস্য পদে সরাসরি নির্বাচন হওয়ায় তৃণমূলের নেতা কর্মীদের মাঝে নির্বাচনী আমেজ বিরাজ করছে। পাশাপশি নেতা কর্মীরা রয়েছে ফুরফুরে মেজাজে। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের একাধীক সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে বিভিন্ন কৌশলে তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন। যদিও জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এ নির্বাচনে অংশ নেয়ার ব্যপারে আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত ঘোষনা করেননি। এর পরেও স্থানীয় নেতা কর্মীরা প্রচারনায় থেমে নেই।
জেলা পরিষদ নির্বাচনে নাগরপুর উপজেলার অংশে ৪ নং ওয়ার্ড অর্šÍভুক্ত হয়েছে। ৪নং ওয়ার্ডের ইউনিয়ন গুলো হচ্ছে, নাগরপুর সদর, গয়হাটা, সলিমাবাদ, ধুবড়িয়া, বেকড়া, ভাদ্রা, দপ্তিয়র, মামুদনগর, মোকনা ও পাকুটিয়া। এ ওয়ার্ডে সম্ভাব্য সদস্য প্রার্থী হিসেবে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন, মামুদ নগর ইউপির তিন বারের নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান, নাগরপুর সরকারি কলেজের সাবেক জিএস আওয়ামী লীগ নেতা শেখ কামাল হোসেন, মামুদ নগর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মতিয়ার রহমান মতি, জেলা যুবলীগের সাবেক ত্রান ও দূর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক ওমর খান ইউসুফজাই শিশির, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা যুবলীগের যুগ্ন আহবায়ক মো. শাহীনুর রহমান শাহীন, উপজেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগের আহবায়ক বাবর আল মামুন, সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. খালিদ হোসেন ও নার্গিস আক্তার।
এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসেবে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী সাইদা ইয়াছমিন শিউলি ও রওশনারা মাসুদা প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এদিকে বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ন আহবায়ক মো. হাবিবুর রহমান হবি এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাহে আলম সাবুর নাম শোনা যাচ্ছে। আইন অনুযায়ী প্রতিটি জেলায় ১৫টি ওয়ার্ডে ১৫ জন সাধারন সদস্য ও ৫ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নির্বাচিত হবেন।