জাতীয়পরিবেশবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
বীরগঞ্জে ভোর ও সন্ধ্যার আকাশে শীতের আগমণী বার্তা
শেখ সাইদুল আলম সাজু, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: বীরগঞ্জে দিনের শুরুতে বইছে শীতল হাওয়া, ভোরের আকাশে ঘনকুয়াশায় যেন শীতের দেখা মিলছে। দিনের গরমের সাথে সাথে সন্ধ্যার শুরুতে পড়ছে ঝরছে কুয়াশার ফুলঝুরি। হেমন্তের দিনগুলো শেষ হতে না হতেই শীতের বুড়ি এসে যেন জবর দখল করে নিচ্ছে উপজেলার আশপাশের প্রকৃতি। দিনে গরম, রাতে হিমালয়ের হিমেল হাওয়া আর ভোর রাতে ঘন কুয়াশার হাতছানিই বলে দিচ্ছে শীত অনেকটা সন্নিকটে।
দিনের বেলা সূর্যের আলোর দেখা মিললেও দিন দিন তাপমাত্রা কমে যাচ্ছে। এতদিন যারা হালকা বা পাতলা কাপড় গায়ে জড়িয়ে বের হতেন তারা এখন শীতের ভারী কাপড় পরতে শুরু করেছে। সকালে ঘাসের ডগায় আর বৃক্ষরাজির পাতায় পাতায় জমে থাকা শিশির বিন্দু জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর বিকেলের হিমেল বাতাসে শীতের হাওয়া। উত্তরাঞ্চলের একাধিক প্রবীণ ব্যক্তিরা জানান, উপজেলায় শীতের আগমন আগেই ঘটে। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
কার্তিকের শুরুতে হলেও উত্তর দিগন্তে হিমালয়ের বরফচুড়া থেকে ছড়িয়ে পড়েছে শীতবুড়ির হিমশীতল নিঃশ্বাস। পূর্ব আকাশে কুয়াশা ঢাকা মুখ আর অল্প স্বল্প মরা রোদের ঝলকানিই মনে কারিয়ে দিচ্ছে শীতের আগমনকে বরণ করে নেওয়ার সময় এসেছে। এদিকে শীতকে সামনে রেখে অনেকেই যারা পুরনো শীত বস্ত্র তুলে রেখেছেন সেগুলো বের করছেন। কেউ কেউ আবার নতুন করে লেপ-তোষক তৈরি করেছেন। লেপ-তোষকের কারিগরদের ব্যস্ততাই প্রমান করিয়ে দিচ্ছে শীতকাল বেশী দূরে নয়।
শীতের এ মাসগুলো যেন প্রত্যন্ত অঞ্চলের নিম্ন আয়ের মানুষের কাছে কবির সেই কবিতার লাইনটির মত (কারো পৌষ মাস বা কারো সর্বনাশ) অভিশাপ হয়েই দেখা দেয়। কারণ বিত্তবানদের যেখানে বাহারি ডিজাইনের শীতের কাপড়ের সমারোহ থাকে কিন্তু সেখানে নি¤œ শ্রেণীর অনেকের ভাগ্যে হয়তো একটি কাপড়ও জোটে না। আর তাই নি¤œ শ্রেণীর নারীরা বেশ আগে ভাগেই সংসারের কাজের ফাঁকে পুরনো শীতের কাঁথাগুলো নতুন করে ছেড়া শাড়ী ও লুঙ্গি দিয়ে জোড়া তালি লাগিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে শীতের আগমনে বিত্তবানরা ছুটছেন শহরের নামীদামী বিপণী বিতান ও কাপড়ের মার্কেট গুলোতে।