বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
নাগরপুরে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনার মধ্য দিয়ে ভোট গ্রহন সম্পন্ন: আ’লীগ ৬, বিএনপি ৫
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে।। টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৭টি তে আওয়ামীলীগ সমর্থিত ৩ প্রার্থী ও বিদ্রোহী ৩ প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। বাকি ৪টি ইউনিয়নের মধ্যে ৩টিতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ও ১টি বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। ১টি ইউনিয়নের ১টি ভোট কেন্দ্রের গণনা বন্ধ রয়েছে। বুধবার অনুষ্ঠিত ১১টি ইউনিয়নের ফলাফল বেসরকারি ভাবে ঘোষনা করা হয়েছে।
নাগরপুর সদর: নাগরপুর ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী মোঃ কুদরত আলী ৭হাজার ৪৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপি প্রার্থী হাবিবুর রহমান হবি পেয়েছেন ৫হাজার ৩৬৫ ভোট।
ধুবরিয়া: ধুবরিয়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মতিয়ার রহমান ৫হাজার ৬৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী শফিকুর রহমান পেয়েছেন ২হাজার ৪৩০ ভোট।
বেকরা আটগ্রাম: বেকরা আটগ্রাম ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো. শওকত হোসেন ২হাজার ৭৮৯ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দি বিএনপির আব্দুল বারী পেয়েছেন ২ হাজার ২২৯ভোট।
সহবতপুর: সহবতপুর ইউনিয়নে বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মো. তোফায়েল মোলা ৭হাজার ৪৮৬ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী পেয়েছেন ৬হাজার ১২ভোট।
মোকনা: মোকনা ইউনিয়নের বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মো. আতাউর রহমান খান ৫হাজার ২০০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী মো. শরিফুল ইসলাম পেয়েছেন ৪ হাজার ৩০০ভোট।
ভাদ্রা: ভাদ্রা ইউনিয়নে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী মো. হাবিবুর রহমান খান ৩ হাজার ১০০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো,শওকত আলী পেয়েছেন ২ হাজার ৮০০ভোট।
মাহমুদ নগর: মাহমুদ নগর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আনোয়ার হোসেন ৭ হাজার ১৬১ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী শেখ কামাল হোসেন পেয়েছেন ৬হাজার ৩০০ ভোট।
দপ্তিয়র: দপ্তিয়র ইউনিয়নে বিএনপির মনোনিত প্রার্থী এম ফিরোজ সিদ্দিকী ৫ হাজার২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছে।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো. লূৎফর পেয়েছেন ৩হাজার ৬০০ভোট।
গয়হাটা: গয়হাটা আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান আসকর ৭হাজার ৬০০ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি আওয়ামী লীগ মনোনিত প্রার্থী শেখ শামছুল হক পেয়েছেন ৬হাজার ৩০০ভোট।
সলিমাবাদ: সলিমাবাদ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী দাউদুল ইসলাম দাউদ ৪হাজার ২০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দি জাতীয় পার্টিার মো. এমদাদ হোসেন পেয়েছেন ৩হাজার ২০০ভোট।
পাকুটিয়া: পাকুটিয়া ইউনিয়নে এগিয়ে রয়েছে বিএনপি প্রার্থী সিদ্দিকুর রহমান। তিনি ৯টি কেন্দ্রে মধ্যে ৮টি কেন্দ্রের ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩১৭ টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল আওয়াল নান্নু পেয়েছেন ২ হাজার ২৩১ ভোট। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ কেন্দ্রের চুড়ান্ত ফলাফল পাওয়া যায়নি।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দু-একটি বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষের ঘটনা ছাড়া মোটামুটি শান্তিপুর্ন পরিবেশে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে ভোট গ্রহন সম্পন্ন হয়েছে। বেলা ১১ টার দিকে নির্বাচনে বেকড়া ইউনিয়নে ৪নং বেকড়া মধ্যপাড়া মাদ্রাসা কেন্দ্রে ও বিশ্বেশ্বর মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারস প্রতীকের মনিরুজ্জামান মোলার সমর্থকদের সাথে নৌকা প্রতীকের শওকত হোসেনের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এতে বিশ্বেশ্বর কেন্দ্রের ভোট গ্রহন প্রায় আধাঘন্টা বন্ধ ছিল। আইনশৃংখলা বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। পুলিশ দুইজনকে আটক করে।
অপর দিকে সলিমাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী প্রার্থী শফিকুল ইসলাম অভিযোগ করেন সরকার দলীয় প্রার্থীর সমর্থকরা সলিমাবাদ গার্লস স্কুল কেন্দ্রে তাকে ও তার এজেন্টদের মারধর দিয়ে বের করে দেয়।
এ উপজেলায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নের মধ্যে ১১টি ইউনিয়নে বুধবার সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোট গ্রহন চলে। সীমানা সংক্রান্ত কারনে উচ্চ আদালত উপজেলার ভারড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করেন। গত ২০ মার্চ টাঙ্গাইল -০৪ কালিহাতী আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহনের কথা ছিল। এ কারনে নির্বাচন কমিশন প্রথম দফায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ২২ মার্চের পরিবর্তে ২৩ মার্চ নির্ধারণ করে।
এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন ৫৯ জন প্রার্থী। এছাড়াও সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১১৯ জন ও সাধারণ ওয়ার্ডে ৪৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। ১১ ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা হচ্ছে ২২০৯৬২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০৫৫০১ ও মহিলা ভোটার ১১৫৪৬১ জন। ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১১০টি।