জেড.আই জহির, নিউজরুমবিডি.কমঃ ক্রিকেট ম্যাচে মাঠে নামেন উভয়পক্ষের মোট ২২ জন খেলোয়াড়। কিন্তু ব্যাটে ও বলে কিংবা উভয় বিভাগে যে সমানতালে লড়াইকরে কাঙ্খিত বিজয় অর্জন করতে সক্ষম হবে সেই হবে ম্যাচ সেরা। রবিবার এশিয়া কাপ টুর্নামেন্টের পঞ্চম ম্যাচে শক্তিশালী শ্রীলংকার বিপক্ষে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বির রহমান। তার ব্যাটিং অলরাউন্ডার নৈপুণ্যে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের হারিয়েছে ২৩ রানের ব্যবধানে। ফলে এশিয়া কাপের ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে স্বাগতিক টাইগাররা
রবিবার হোম অফ ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শক্তিশালী শ্রীলংকার বিপক্ষে মাঠে নামে স্বাগতিক বাংলাদেশ। এশিয়া কাপের পঞ্চম ম্যাচে টসে জয়লাভ করে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় টাইগার দলপতি মাশরাফি বিন মর্তুজা। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো করেনি দুই ওপেনার মিথুন-সৌম্য। রানের খাতা খোলোর আগেই প্যাভিলিয়নে ফেরত যান মিথুন আলী (০ রানে)। এরপর মাত্র দুই রানে বক্তিগত (০ রানে) আউট হন আরেক ওপেনার সৌম্য সরকার। দলীয় ২৬ রানে সাঝঘরে ফেরত যান মিঃ ডিপেন্ডবল মুশফিকুর রহিম।
এরপর বাংলাদেশ ঘুরে দাড়ায় সাব্বির-সাকিব জুটিতে ভর করে। দুজনে মিলে দলের জন্য ৬৭ বলে ৮২ রানের কার্যকরী জুটি গড়েন। যার মধ্যে সাব্বির রহমানের অবদান ছিল ৫৮ রান। মিষ্টার ভ্যাম্পায়ার আউট হওয়ার আগে ৮০ রানের ম্যাচ সেরা ইনিংস উপহার দেন। তার ৫৪ বলের ইনিংসে ১৪৮.১৪ স্ট্রাইক রেটে ১০টি চার ও ৩টি বিশাল ছ্ক্কার মার মারেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট খুইয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে টাইগাররা।
টি-টোয়েন্টি স্পেশালিস্ট সাব্বির এখানেই থেমে থাকেন নি। স্যামুয়েলসের রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড গড়েন সাব্বির রহমান। ২০১২ সালে মারলন স্যামুয়েলস দলীয় ১০৮ রানের মধ্যে একাই যোগ করেছিলেন ৭৮ রান। শতকরা হিসেবে দলীয় সংগ্রহে যার অবদান ছিলো ৭২.২২ শতাংশ। অন্যদিকে গতকাল এশিয়া কাপে সাব্বির রহমান যখন আউট হন দলের স্কোর ছিলো ১০৮ আর নিজের রান ছিলো ৮০! শতকরা হিসেবে ৭৪.০৭ শতাংশ রানই এসেছে রাজশাহীর এই হার্ডহিটারের ব্যাট থেকে। এছাড়া মাশরাফির করা বলে ডিপ স্কোয়ার লেগে দাড়িয়ে শ্রীওর্দানার উড়ন্ত ক্যাচ লুফে নিয়ে ম্যাচ সেরা হওয়ার ষোল কোনা পূর্ণ করেন টি-টুয়েন্টি স্পেশালিষ্ট সাব্বির রহমান।