বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ

যমুনা তীরবর্তী এলাকায় অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙ্গনের কবলে ৯টি গ্রাম

মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইল সদর উপজেলার ১২নং মামুদ নগর ও ২নং ভাররা ইউনিয়নে যমুনা তীরবর্তী এলাকায় নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে হুমকির মুখে ৯টি গ্রাম।

স্থানীয়সূত্রে জানা যায়,কুকুরিয়া গ্রামের বালু খেকো আতর আলী সরকারের ছেলে আব্দুর রশিদ মাষ্টার, ওয়াজেদ আলী মোল­ার ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম,সামছুল হকের ছেলে পান্না মিয়া,লাল মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক মন্ডল, এরা সবাই এই বালু ব্যবসার সাথে জড়িত।

এলাকাবাসীর পক্ষে স্থানীয় মাতব্বর আলহাজ্ব মোঃ শওকত আলী প্রতিবেদককে জানায়- মামুদ নগর ও ভাররা ইউনিয়নের কুকুরিয়া, সরাতৈল, নয়াপাড়া, হরিপুর, কেশবমা মাইঝাইল, আটাপাড়া, শাহজানী, ও মারমাসহ অন্যান্য গ্রামের জনসাধারন যমুনা নদীর তীরবর্তী এলাকায় অসহায় ভাবে জীবনযাপন ও বসবাস করে আসছে। কিন্তু এলাকার ঐ অসাধু ব্যক্তিগন নদীগর্ভ থেকে অবৈধ ভাবে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করছে। যাহার ফলে উপরে উলে­খিত গ্রাম গুলো হুমকির সম্মুখিন হয়ে পরেছে। এছাড়া সরকার বাহাদুর কর্তৃক যমুনা নদীর তীর রক্ষা বাধও ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

এব্যাপারে এলাকার জনসাধারণ ও গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ বালু উত্তোলনকারীদের বার বার নিষেধ করা সত্ত্বেও তাদের কথায় কর্ণপাত না করে দেদারছে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করেই চলছে। ভুক্তভোগীরা আরো জানায়, শক্তিশালী ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের ফলে নদী ভেঙ্গে নদীর গতিপথ পূর্বদিক দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যার ফলে জেগে উঠা চর গুলো ভেঙ্গে আবার নদীগর্ভেই চলে যাচ্ছে। গ্রামবাসীর পক্ষে মুক্তিযোদ্ধা শওকত আলী, আব্দুল করিম সরকার, আব্দুর রহমান মন্ডল, ও আনসার ভিডিপি আব্দুল গফুর মোল­া বালু উত্তোলন কাজে বাধাঁ দিতে গেলে তাদের প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ভয়ভিতি দেখায়। স্থানীয় জনগন ও গ্রামবাসীরা জানতে চায় এদের খুটির জোর কোথায়? এ থেকে পরিত্রান পাওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।

Related Articles

Close