বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
বর্তমান সরকার অবৈধ: খালেদা জিয়া
গণতন্ত্র হত্যার জন্য তিনি নির্বাচন কমিশনকে দায়ী উল্লেখ করে বলেন, “এই কমিশন অথর্ব, মেরুদণ্ডহীন। তাদের কথা বলারও সাহস নেই। সিইসি নাকি অসহায়। যদি কিছু করার ক্ষমতা না থাকে তাহলে পদত্যাগ করুন।”
খালেদা জিয়া বলেন, “আমরা এই গণতন্ত্র হত্যা দিবসে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে চেয়েছিলাম; কিন্তু সেই সুযোগ গতবার আমাদের দেয়া হয়নি। এবারই অনুমতি দিল, তাও কয়েক ঘণ্টা আগে।”
তবু সমাবেশের অনুমতি দেয়ায় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়ে খালেদা জিয়া বলেন, “অনেক দিন পর সামনে আসতে পেরে আমিসহ সবাই আনন্দিত ও উৎফুল্ল।” তবে সমাবেশের সময় বেঁধে দেয়ার সমালোচনা করে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘সরকার ভয় পায় বলেই সমাবেশের সময় বেঁধে দিয়েছে।’
দেশে রাজতন্ত্র কায়েম করার চেষ্টা হচ্ছে অভিযোগ করে সরকারের উদ্দেশে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, “এর আগেও একবার চেষ্টা করেছেন একদলীয় শাসন কায়েম করার। এখন আবার করছেন।মানুষ গুম করে, খুন করে রাজতন্ত্র কয়েম করার যে চেষ্টা আপনারা করছেন, তা কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না।”
খালেদা জিয়া বিশ্বের বিভিন্ন স্বৈরশাসনের উদাহরণ টেনে সরকারের উদ্দেশে বলেন, “আপনারাও টিকতে পারবেন না; একদলীয় শাসনের পথ থেকে ফিরে আসুন; গণতন্ত্রের পথে আসুন।”
খালেদা জিয়া আরো বলেন, “বাংলাদেশ একটি ছোট দেশ; আমরা সবাই মিলেমিশে থাকতে চাই। সবাই মিলেই দেশকে এগিয়ে নিতে চাই।” তিনি বলেন, “সরকার সংবিধান পরিবর্তন করেছে নিজের স্বার্থে। এই পরিবর্তনে জনগণের ভালোর জন্য কিছু নেই। বিরোধী দলকে দমনের জন্য সরকার একের পর এক আইন করছে।”
অবিলম্বে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, “আমরা চাই আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান। গণতন্ত্রের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন, আব্দুল্লাহ আল নোমান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জেড এম জাহিদ হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদিন, যুগ্ন মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, যুবদলের সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।