খেলাধূলাসর্বশেষ নিউজ
২০১৫ সালে দেশসেরা ব্যাটসম্যান মুশফিক
জেড.আই জহির, নিউজরুমবিডি.কম: বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের আস্থার প্রতিক বলা হয় তাকে। ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা আদর করে ডাকেন “রান ম্যাশিন” বলে। যখনই বাংলাদেশ দল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে, দলের ত্রাতা হিসেবে প্রাচীর হয়ে আবির্ভাব হন তিনি। বলছি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের টেস্ট অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মিতুর কথা। চলতি বছরে দেশসেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজের জায়গা ইতিমধ্যেই পাকাপোক্তো করে নিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। সবাইকে ছাপিয়ে ২০১৫ সালে মুশফিকুর রহিম করেছেন ১৬ ম্যাচে ৭১৮ রান।
শনিবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ২০১৫ সালে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক বনে গেছেন মুশফিকুর রহিম। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন মুশফিক। পাশাপাশি জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। মুশফিক এ বছরে ১৬ ম্যাচে ১৪টি ইনিংস খেলে ৫৫.২৩ গড়ে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৭১৮ রান করেছেন। এছাড়া চারটি হাফ-সেঞ্চুরি ও দুইটি সেঞ্চুরি করেছেন মুশফিকুর রহিম।
এদিকে চলতি বছরে দেশসেরা ব্যাটসম্যানের তকমাটা ছিল বাঁহাতি ওপেনার সৌম্য সরকারের। পাঁজরের ইনজুরির কারণে চলমান সিরিজটা খেলছেন না সৌম্য সরকার। ১৫টি ম্যাচ খেলে বাঁহাতি এই ওপেনার নিজের ঝুলিতে পুরেছেন ৬৭২ রান। সৌম্য সরকারের রান তোলার গড় ৫১.৬৯, সাথে আছে চারটি হাফ সেঞ্চুরি ও একটি সেঞ্চুরির মার।
মুশফিকুর রহিম ও সৌম্য সরকারের পরের তালিকায় আছেন দেশসেরা ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল। ১৬টি ম্যাচ খেলে তামিম ইকবাল করেছেন ৬৫০ রান। এই সিরিজে পর চলতি বছরে বাংলাদেশের আর কোনো সিরিজ নেই। সিরিজে বাকি আছে দুই ম্যাচ। দলের বাইরে থাকায় সৌম্যর সুযোগ নেই মুশফিককে ছাড়িয়ে যাওয়ার। তবে তামিমের সম্ভাবনা আছে মুশফিকের সঙ্গে পাল্লা দেয়ার। দেশের পক্ষে ২০১৫ সালে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত কে শীর্ষে থাকবেন তা সময়ই বল দেবে। তবে দলের সঙ্গে বছরটা ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের হিসেবে মুশফিক-তামিমরা খুব উপভোগ করছেন, তা বলাই যায়।