বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
ঘাটাইলে লম্পট পিতার যৌন লালসার শিকার অন্তঃসত্ত্বা কন্যা!
মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : এবার ঘাটাইলে লম্পট এক বিপিতার যৌন লালসার শিকার কন্যা আমিনা খাতুন (১৮) এখন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ঘটানাটি ঘটেছে ঘাটাইলের মালিরচালা (বাগামারি পাড়া) গ্রামে। এ ঘটনায় ভিকটিম আমিনা (১৮) বাদী হয়ে বিপিতা কামরুল ইসলামের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল নারী ও শিশু ট্রাইবুনাল আদালতে মামলা করেছে।
জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া থানা কালাইপাড় গ্রামের আমির হোসেনের সাথে বিয়ে হয় বানেছা বানুর। ঐ ঘরে এক কণ্যা সন্তান জন্ম হয়। তার নাম আমিনা খাতুন। ওর বয়স যখন ৩/৪ বছর তখন বাপের সাথে তার মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ফলে মায়ের সাথেই শিশু কণ্যা আমিনা চলে আসে নানার বাড়ি সাগরদিঘী এলাকার ফুলমালীর চালা গ্রামে।
ঐ বাড়িতে লম্পট কামরুল ইসলামের যাতায়াতের এক পর্যায়ে তার মা বানেছা বানুর সাথে সক্ষতা গড়ে ওঠে। একদিন তাকে বউ করে ঘরে নেয়ওয়ার প্রস্তাব দেয়। এতে বানেছা তার ৪/৫ বছর বয়সী কণ্যাকে তার মেয়ে হিসেবে দায় দিয়ে তার সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। পরে বানেছা বানু জানতে পারে তার লম্পট স্বামী কামরুল ইসলাম এর আগেও একাধিক বিয়ে করেছিল।
এক বউ নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যায় বলে জানায়। তারপরও দ্বিতীয় বিয়ে হওয়ায়, আশায় বুক বেধে ঘর করতে থাকে বানেছা বানু। প্রথম কয়েক বছর ভালই চলছিল তাদের সংসার। কিছুদিন পর আস্তে আস্তে তার আসল রূপ উম্মোাচিত হতে থাকে। আমিনার উপর লম্পট কামরুলের কু-দৃষ্টি লক্ষ্য করে তার মা বানেচছা বানু। এ নিয়ে লম্পট কামরুলকে সতর্কও করে দেয় বানেছা বানু। এতে তার উপর পাশবিক নির্যাতন বেড়ে যায়। এর সাথে ননদ, শশুর, শাশুরি সবাই নির্যাতন করতে থাকে তাকে। এদিকে ভিকটিম আমিনা খাতুন মেয়েকে তার নানার বাড়িতে রেখে আসে।
এ অবস্থায় এক দিন মেয়ে তার মাকে দেখতে যায়। আমিনা খাতুন জানায়, ঘটনার রাত ০২/০২/২০১৭ তারিখে রাত্রিতে সবাই ঘুমিয়ে পড়ে। পরে রাত আনুমানিক দেড়টায় অবৈধ যৌন কামনা চরিতার্থ করার জন্য অতর্র্কিত ভাবে আমার ঘরে ডুকে মুখ ছাপিয়ে ধরে দস্তাদস্তি করে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে নরপশু কামরুল ইসলাম। পরে এ ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেয় সে। এভাবে একাধিক বার তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে জানান। এভাবে গর্ভবতী হয়ে পরে আমিনা খাতুন।
এদিকে আমিনা খাতুন এখন ৯ মাসের অন্তঃস্বত্বা হয়ে বিচারের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এদিকে সে বাদী হয়ে টাঙ্গাইলের আদালতে মামলা করলেও তা তুলে নিতে নানান হুমকি দেওয়া হচ্ছে তাকে। এছাড়াও আমিনার সাথে তার বিয়ে হয়েছে মর্মে একটি ভূয়া কাবিন নামা করে লোকমুখে প্রচার করে বেড়াচ্ছে।
এলাকার স্থানিয় লিটন ভূইঞা, আঃ জব্বার, আনছার আলী, সন্দুলসহ শত শত গ্রাম বাসী জানায় কামরুল ইসলাম শুধু লম্পটি নয় সে একজন প্রতারক। এর আগেও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে এবং বহু নারীর স¤্রম হানী করেছে। তার উপযুক্ত বিচারের দাবীও জানান তারা। ফলে ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।