বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলের সখীপুরে ১১ মাসে ১২’শ ৪টি বিবাহ বিচ্ছেদ
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে, নিউজরুমবিডি.কম: সখীপুরে বাল্য বিয়ের পাশাপাশি বিয়ে বিচ্ছেদের সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বিয়ে বিচ্ছেদে স্বামী স্ত্রীকে, স্ত্রী স্বামীকে পাঠাচ্ছেন তালাক নোটিশ; আবার অনেক ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সমঝোতায়ই হচ্ছে খোলা তালাক। স্ত্রীর প্রতি স্বামীর অমনোযোগ, স্বামী কর্তৃক স্ত্রী নির্যাতন, শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী কর্তৃক পুত্রবধু নির্যাতন, পরনারী আসক্তি, স্বামীর মাদকাসক্তি, স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা এবং স্ত্রীর ভরণ পোষণের অনীহাই এসব বিয়ে বিচ্ছেদের মূল কারণ বলে জানা গেছে।
উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কাজী ও পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডের ৪টি কাজী অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর এই ১১ মাসে ১২টি কাজী অফিসে মেয়ে কর্তৃক (ডি-তালাক), ছেলে কর্তৃক (বি-তালাক) ও উভয় পক্ষের সম্মতিতে (সি-তালাক) এই তিন স্তরের ১২’শ ৪টি বিয়ে বিচ্ছেদ (তালাক) নিবন্ধন করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কাজীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিবান্ধা ইউনিয়নে ৬৫টি, যাদবপুর ইউনিয়নে ১১২টি, বহেড়াতৈল ইউনিয়নে ৭০টি, কাকড়াজান ইউনিয়নে ১১৩টি ও পৌরসভার ৪টি কাজী অফিসে ৪৪৬টি বিয়ে বিচ্ছেদ (তালাক) নিবন্ধন করা হয়েছে।
কালিয়া ইউনিয়নের নিকাহ ও তালাক রেজিস্ট্রার (কাজী) মা লানা মাহবুব জামান বলেন, গত ১১ মাসে তিন স্তরের ১১০টি বিবাহ বিচ্ছেদ (তালাক) রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে। এদের অধিকাংশ বিবাহ বিচ্ছেদই স্ত্রী কর্তৃক দেয়া হয়েছে। সখীপুর উপজেলা কাজী সমিতির সাধারণ সম্পাদক, সখীপুর পৌরসভা সদর কাজী শফিউল ইসলাম কাজী বাদল বলেন, বেশির ভাগ বিয়ে বিচ্ছেদই স্ত্রীরাই করে থাকেন। সামাজিক অস্থিরতা, মাদকাসক্তের প্রভাব, পরস্পরকে ছাড় না দেওয়ার মনোভাব, মেয়ের মা কিংবা ছেলের মা-বোনের নির্যাতন, স্বামী দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকা এবং স্ত্রীর ভরণ পোষণের অনীহাই বিয়ে বিচ্ছেদের মূল কারণ বলে জানান তিনি।