পরিবেশবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
নাগরপুরে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাধে ধ্বস: হুমকির মুখে ৪ গ্রাম
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল থেকে: টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা ও ধলাই গ্রামের প্রায় দুই কি.মি. এলাকা জুড়ে যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাধ ধ্বসে পড়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আকস্মিক জলোচ্ছাসের আঘাতে নাগরপুর অংশের ৭ কিঃমিঃ যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাধের প্রায় ২ কিঃমিঃ বাধ দেবে গেছে। এতে উপজেলার শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা ও ধলাই গ্রাম হুমকির মুখে পড়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নাগরপুর উপজেলার শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা ও ধলাই গ্রামে ১২২ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭ কিঃমিঃ যমুনা নদীর ভাঙ্গন রক্ষা বাধের কাজ শুরু করেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান জামিল ইকবাল লিমিটেড (আইজে-জেভি)। গত রোববার সন্ধ্যায় হঠাৎ ঝড় শুরু হলে নদীর পানি ৪/৫ ফুট উচুতে উঠে। এসময় প্রচন্ড বেগে ঢেউ এসে বাধের উপর আছরে পড়ে। এতে চেকির মোড় থেকে খগেন ঘাট হয়ে আটাপাড়া উত্তর সীমানা পর্যন্ত প্রায় দুই কিঃমিঃ বাধ ধ্বসে যায়। সেই সাথে বাধের কিছু স্লোব নষ্ট হয়ে গেছে।
স্থানীয় চা দোকানী মো. আইয়ুব আলী (৫৮) জানান, ওই দিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঝড় শুরু হলে ভাঙ্গন রক্ষা বাধ ধ্বসে যেতে থাকে।
শাহজানী এম এ করিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.আবুল কাশেম বলেন, ঝড়ের কারনে নদীতে জলোচ্ছাস শুরু হয়। নদীর পানি ৪ থেকে ৫ ফুট ওপড়ে এসে বাধে আঘাত করে। এতে ভাঙ্গন রক্ষা বাধ দেবে যায়। জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করলে মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে আটাপাড়া, মারমা ও ধলাই গ্রাম।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহজাহান সিরাজ জানান, প্রকৃতিক দূর্যোগের কারনে এমনটি হয়েছে। চিন্তার কিছু নেই। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। সোমবার বিকেলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রজেক্ট ডিরেক্টর (পিডি) মো. আমিনুল হক ক্ষতি গ্রস্থ ভাঙ্গন রক্ষা বাধ এলাকা পরিদর্শন করেন।
উলেখ্যঃ টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার চরাঞ্চল ভাড়রা ইউনিয়নের শাহজানী, আটাপাড়া, মারমা ও ধলাই গ্রাম যমুনা নদীর ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। ইতোমধ্যে ওই ৪টি গ্রামের বহু ঘড় বাড়ী ও আবাদী জমি যমুনার গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। স¤প্রতি যমুনার ভাঙ্গনের কবল থেকে নাগরপুর কে রক্ষা করতে ১২২ কোটি টাকার ভাঙ্গন রক্ষা বাধ প্রকল্পের কাজ শুরু করা হয়।