জাতীয়বাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলে এবার স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ
মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছয়মাস আটকে রেখে কলেজছাত্রী ভাতিজিকে ধর্ষণের অভিযোগের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার জেলার বাসাইলে অষ্টম শ্রেনীতে পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষনের অভিযোগ উঠেছে। তার স্বজনদের অভিযোগ ঘটনার তিন দিন পর শনিবার ( ৫ আগস্ট) মামলা নিয়েছে পুলিশ।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ এ ঘটনায় ধর্ষকের সহযোগী সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের শাকিল ও মাসুদ নামের দুইজনকে আটক করা হলেও তাদের ছেড়ে দেয়া হয়। মেয়েটিকে শনিবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। সে বাসাইলের ডুমনী বাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেনীর ছাত্রী। এ ঘটনায় মেয়েটি অনেকটা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে।
মেয়েটির পারিবারিক সূত্র জানায়, গত ১ আগস্ট সকালে স্কুলে যাওয়ার পর পাশর্^বতী সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিকের নেতৃত্বে ২/৩জন যুবক মেয়েটিকে প্রথমে বাসাইল হয়ে নলুয়ার মুস্তাফিজুর রহমান নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে নিয়ে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরের দিন দেলদুয়ার উপজেলার পেরাকজানী গ্রামে মেয়েটির এক আত্মীয়র বাড়ির সামনে তাকে ফেলে রেখে চলে যায়। মেয়েটির বাড়ির লোকজন খবর পেয়ে তাকে ২ আগস্ট কল্যাণপুরের বাড়িতে নিয়ে আসে। স্বজনদের অভিযোগ, ৩ আগস্ট সকালে বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা রেকর্ড করেনি।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত মেয়ে ও মেয়ের বাবাকে পুলিশ থানায় রাখে। পরে শনিবার মামলাটি রেকর্ড করে তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পুলিশ জানায়, এ ঘটনায় শনিবার সকালে সখীপুর উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আশিক (১৮) কে মুল আসামী এবং আশ্রতদাতা মোস্তাফিজুর রহমান (৩৫) ও তার স্ত্রী ইতি বেগমের বিরুদ্ধে মামলা রেকর্ড হয়েছে।
এ ব্যাপারে মেয়েটির মা বলেন, আমার মেয়েকে স্কুলে যাওয়ার পথে আশিকসহ তিনজনে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষন করে। এ ঘটনায় বাসাইল থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ নানা অজুহাত দেখিয়ে মামলা রেকর্ড করেনি। তিনদিন পর মামলাটি রেকর্ড করে। তিনি বলেন, ঘটনার দুই সহযোগীকে আটক করা হলেও রাতে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়।
ধর্ষিতার দাদা বলেন, নাতনীর কাছে শুনেছি তাকে ৩জনে ধর্ষণ করেছে, এই ঘটনার সাথে জড়িতদের কঠিন বিচার চাই। ধর্ষিতার চাচা অভিযোগ করে বলেন, এ ঘটনার পর ধর্ষকের পরিবার আমাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছে। আমরা আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার দেখতে চাই। ধর্র্ষিতার স্কুল শিক্ষক আজিজুল ইসলাম বলেন, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে আমরা এই ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি করছি।
এ ব্যাপারে বাসাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূরুল ইসলাম খান বলেন, এ ঘটনায় শনিবার সকালে একটি মামলা হয়েছে। মেয়েটিকে স্বাস্থ্য পরিক্ষার জন্য শনিবার সকালে টাঙ্গাইল পাঠানো হয়েছে। টাকা নিয়ে আটককৃতদের ছেড়ে দেয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেছেন।