নিউজরুমবিডি.কম: ঈদ সামনে রেখে শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ঢাকা থেকে উত্তর ও দক্ষিণ জনপদের বিভিন্ন গন্তব্যে বাসের অগ্রীম টিকিট বিক্রি। আর বরাবরের মতো এবারো যাত্রীদের অভিযোগ বাড়তি ভাড়া আদায়ের।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ঈদ উপলক্ষে গাবতলী টার্মিনাল ও মাজার রোড থেকে বিক্রি হচ্ছে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের অগ্রিম টিকিট। উত্তরবঙ্গের অগ্রিম টিকিট বিক্রি হচ্ছে গাবতলী বালুর মাঠ থেকে। আর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, বরিশাল, পটুয়াখালী, খুলনাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের বাসের টিকিট বিক্রি করতে দেখা গেছে কলাবাগান, ফকিরাপুল, কমলাপুর, মালিবাগ কাউন্টারগুলোতে। এ ছাড়া মহাখালী বাসটার্মিনাল থেকে বিক্রি করতে দেখা গেছে ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলার বাসের টিকিট।
অগ্রিম টিকিটের জন্য ভোর থেকে মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায় সবগুলো কাউন্টারে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনেছেন অনেকেই।
কোনো কাউন্টারে নারীদের জন্য আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় টিকিট কিনতে এসে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন নারীরা। পুরুষদের সঙ্গে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনতে হচ্ছে তাদের।
টিকেট কিনতে আসা অনেকেই অভিযোগ করেছেন, আগের কোনো গন্তব্যের জন্য টিকেট কিনলেও তাদের কাছ থেকে বাসের শেষ গন্তব্যের ভাড়া আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে একটি পরিবহন সংস্থা বেশি ভাড়া আদায়ের যুক্তি হিসাবে বলেছে, তারা অন্যসময় কম নিলেও এখন সরকার নির্ধারিত ভাড়া নিচ্ছে।
যাত্রীদের কেউ কেউ অভিযোগ করছেন,ইচ্ছা করেই ক্রাইসিস তৈরি করা হচ্ছে। যার ফলে আতঙ্কে পড়ে যাত্রীরা বেশি দামে টিকেট সংগ্রহ করে নিচ্ছে।
বেশ কয়েকটি কাউন্টার ঘুরে জানা যায়, যশোরের টিকেট ৪৮০ টাকা হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, ঢাকা থেকে রাজশাহীর টিকেট ৬০০ টাকা হলেও এখন হয়েছে ৬৫০ টাকা, নীলফামারীর টিকিটও বিক্রি হচ্ছে পূর্বের মূল্যের থেকে ১৫০ থেকে ২০০ টাকা বেশি দামে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হানিফ পরিবহনের ম্যানেজার (উত্তরাঞ্চল) মো. ওয়াহিদুজ্জমান বলেন, “আমরা টিকেটের গায়ের যে মূল্য সেটাই নিচ্ছি। তবে যে যেখানেই নামুক, টিকেটে লাস্ট স্টপেজের ভাড়া নেওয়া হচ্ছে।”
নাবিল পরিবহনের রংপুর সেকশনের কাউন্টার মাস্টার রায়হান সরকার জানান, “আগে মালিক সমিতির নির্ধারিত রেটে ভাড়া নেওয়া হত, এখন কিলোমিটার অনুযায়ী সরকারি রেট নেওয়া হচ্ছে। তাই যাত্রীদের কাছে ভাড়া বেশি মনে হচ্ছে।”
কাউন্টারগুলোতে বেশির ভাগ যাত্রী ভোগান্তির শিকার হলেও কাঙ্খিত টিকিট পাওয়ায় স্বস্তির হাসি মুখে নিয়ে কাউন্টার ত্যাগ করতে দেখা গেছে অনেককেই।