ক্যাম্পাসবাংলাদেশসর্বশেষ নিউজ
টাঙ্গাইলে ভাসানীর ১৩৫তম জন্মবার্ষিকী পালন
মুক্তার হাসান,টাঙ্গাইল থেকে, নিউজরুমবিডি.কম: টাঙ্গাইলে পালিত হলো মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর ১৩৫তম জন্মদিন।
এ উপলক্ষে শনিবার সকালে মওলানা ভাসানী ফাউন্ডেশন এর চেয়ারম্যান খন্দকার নাজিম উদ্দিন ও ভাসানী ফাউন্ডেশনের মহাসচিব মোঃ মাহমুদুল হক সানুসহ ফাউন্ডেশনের সকল নেতৃবৃন্দ ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। এছাড়া বিকেলে মাজারের সামনে শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।
অন্যদিকে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকেও ভাসানীর মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভাসহ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও লাইফ সায়েন্স অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সারা জীবন কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য সংগ্রাম করেছেন। মওলানা ভাসানীর ১৩৫তম জন্মদিন যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হবে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী ডিসেম্বর মাসের ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম হাজী শরাফত আলী খান। মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী মক্তব হতে শিক্ষা গ্রহণ করে কিছুদিন মক্তবেই শিক্ষকতা করেন। ১৮৯৭ সালে পীর সৈয়দ নাসীরুদ্দীনের সাথে আসাম যান। ১৯০৩ সালে সন্ত্রাসবাদী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত হন। ইসালামিক শিক্ষার উদ্দেশ্যে ১৯০৭-এ দেওবন্দ যান। দুই বছর সেখানে অধ্যয়ন করে আসামে ফিরে আসেন। ১৯১৭ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাস ময়মনসিংহ সফরে গেলে তার ভাষণ শুনে ভাসানী অনুপ্রাণিত হন।
১৯১৯ সালে কংগ্রেসে যোগদান করে খেলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে দশ মাস কারাভোগ করেন তিনি। ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন স্বরাজ্য পার্টি গঠন করলে ভাসানী সেই দল সংগঠিত করার ব্যাপারে ভূমিকা পালন করেন। ১৯২৬-এ আসামে প্রথম কৃষক-প্রজা আন্দোলনের সুত্রপাত ঘটান। তিনিই ১৯২৯-এ আসামের ধুবড়ী জেলার ব্রহ্মপুত্র নদের ভাসান চরে প্রথম কৃষক সম্মেলন আয়োজন করেন। এখান থেকে তার নাম রাখা হয় “ভাসানীর মাওলানা”। এরপর থেকে তার নামের শেষে ভাসানী শব্দ যুক্ত হয়। ১৯৭৬ খৃস্টাব্দের ১৭ই নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এই দেশ বরেণ্য নেতা মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে টাঙ্গাইলের সন্তোষে দাফন করা হয়।