ক্যাম্পাসজাতীয়বাংলাদেশরাজনীতিসর্বশেষ নিউজ
প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ছাত্রলীগের আনন্দর্যালি
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি
নিজস্ব প্রতিবেদক: ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড করে সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ সংশোধন ও অনুমোদন করায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে আনন্দ র্যালি করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১টার দিকে ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এ আনন্দ র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর, ঢাকা মহানগর দক্ষিন সহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা কর্মীরা অংশগ্রহনণ করেন।
আনন্দ র্যালীটি মধুর ক্যান্টিন থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিন করে রাজু ভাস্কর্যে এসে শেষ হয়। র্যালী শেষে ছাত্রলীগ সভাপতি আল-নাহিয়ান খান জয়ের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্য বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তরের ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মো: সাইদুর রহমান হৃদয় ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের সভাপতি মো: মেহেদী হাসান ও সাধারণ সম্পাদক মো: জুবায়ের আহমেদ।
ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে অধ্যাদেশ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আজ মঙ্গলবার সকালে বঙ্গভবন থেকে রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষমতাবলে এ অধ্যাদেশ জারি করেন। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা বাড়ানোর অনুমোদন হয়। সংশোধন করা হয় ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’।
মূল আইনের ৯ এর ১ ধারায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল এটি করবে এবং বিচার শেষ করতে হবে ১৮০ দিনের মধ্যে। ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০’ এ সর্বোচ্চ সাজা ছিল যাবজ্জীবন। এখন সংশোধন করে, করা হলো মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন। সংসদ অধিবেশন না থাকায়, সংশোধনীটি জারি করা হয় অধ্যাদেশ আকারে।