মুক্তার হাসান, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি: বৃষ্টিতে ড্রেনের পানি সড়কে উঠে পুরো এলাকাজুড়ে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। আবার দুর্গন্ধযুক্ত পানিতে হাটলে শরীরে চুলকানি হয়। শুধু তাই নয় দুর্গন্ধযুক্ত এই ময়লা পানি মানুষের বাসা-বাড়িতে উঠে যায়। দীর্ঘদিনের এই সমস্যা পৌরবাসী ভোগ করলেও সেটি নিরসনে কোন উদ্যোগ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর পৌরসভায় বেহাল ড্রেনেজ ব্যবস্থা, খাল ও পুকুর ভরাটের কারণে বৃষ্টির পানিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় তাদের। সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, ভূঞাপুর পৌরসভার অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক হওয়া ও নিয়মিত পরিস্কার না করার ফলে ড্রেনে ময়লা জমে ভরাট হয়ে গেছে। এতে বৃষ্টির পানিতে ড্রেন বোঝাই হয়ে দুর্গন্ধযুক্ত ময়লা পানি মানুষের বাসা-বাড়িতে উঠে পড়ছে। এছাড়া পৌরসভার কয়েকটি এলাকায় নতুন করে শুরু হওয়া ড্রেন নির্মাণের কাজ বন্ধ থাকায় ভোগান্তি আরো বেড়ে গেছে। অন্যদিকে পৌর এলাকায় সরকার খাল, ডোবা জায়গা ভরাট করে দখল করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজ রোড, পূর্ব ভূঞাপুর, ঘাটান্দি, টিএন্ডটি কার্যালয় ও সেটেলমেন্ট কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক এবং উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয় সংলগ্ন সড়ক তলিয়ে যায়।
এছাড়া রাস্তার বেহাল দশাতো রয়েছেই। স¤প্রতি হারুন অর রশিদ ও লিয়াকত তালুকদার নামের দুইজন ব্যক্তি নিজ উদ্যোগে ঘাটান্দি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা মেরামত করেন। যদিও দীর্ঘদিন ধরে এমন বেহাল দশায় পড়ে থাকলেও সেটি মেরামতের উদ্যোগ নেয়নি পৌরসভা। পৌরসভার ঘাটান্দি এলাকার রেজাউল হক জানান, অল্প বৃষ্টিতেই সড়কে পানি উঠে যায়। এতে দুর্গন্ধযুক্ত পানি ঘরে প্রবেশ করে ফলে দুর্গন্ধে বাসাতে থাকা যায় না।
ইব্রাহীম খাঁ সরকারি কলেজ রোডের ব্যবসায়ী সোহেল তালুকদার, জাহাঙ্গীর আলম, পিয়ার আলী জানান, বৃষ্টি হলেই আর উপায় নেই। ৪-৫ঘন্টা ময়লা পানিতে তলিয়ে থাকে সড়ক। দোকান খোলা থাকলেও পানির কারণে ক্রেতা আসে না। পৌরসভার ড্রেনগুলোর বেহাল দশার কারণে পৌরবাসীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। ভূঞাপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী সুকোমল রায় বলেন, বন্ধ হওয়া ড্রেন নির্মাণের কাজ পুনরায় শুরু করা হবে। পানি নিষ্কাশনের জন্য পুরনো ড্রেন পরিস্কার করার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া ভূঞাপুর বাজারের ড্রেন কেটে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।